আমি আগে ধারনা রাখতাম যে আল্লাহ সত্ত্বাগত ভাবে আরশে আছেন,এবং জ্ঞানগত ভাবে সব জায়গায় বিরাজমান। সত্ত্বাগত ভাবে কোনো স্থান আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করা ইসলামী আকিদার খেলাফ হয়।এই জ্ঞান আমার ছিলো না। তখন এতো গভীর ভাবনা ও ভাবি নি,বিভিন্ন ইউটিউবের বক্তব্য শুনে এমন আকিদা তৈরী হয়েছিলো। তখন ভাবতাম আল্লাহর হাত পা আছে তবে এগুলো দেহ এই ভাবনা তখন মাথায় এসেছিলো কি না বলতে পারছি না, আসলে ভালো করে মনে নেই। আসলে এই সব বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ভাবনা হয় নি শুনে শুনেই মনে রেখে দিয়েছিলাম,তাই অনেক ভুল বুঝতে পারি নাই।
এখন এই ভাবেই আকিদা রাখি যে "আল্লাহর শান মানের সাথে যেভাবে যায় ওইভাবেই তিনি আরশে ইস্তাওয়া করেছেন এবং যেভাবে শান মানের সাথে যায় ওই ভাবেই আমাদের কাছেও আছেন। উনার থাকার পদ্ধতি আমরা জানি না, উনার মতো কিছুই নাই"
তখন আগের আকিদা যখন মনে ছিলো তখন নামাজে মনযোগ আনার জন্য ভাবতাম যে আমি আরশের কাছে নামাজ পরছি আর আল্লাহ পর্দার আড়ালে আছেন। (মেরাজের কনসেপ্ট থেকে এই আইডিয়া এসেছিলো) তখন এইটা ঠিক হচ্ছে না কি ভুল হচ্ছে এইটা ভাবি নাই।
১। আমার আগের যে আকিদা ছিলো বা যে কল্পনা করতাম নামাজে তার জন্য কি আমাকে কাফের বলা যায় ? ওই অবস্থায় আমার বিবাহ ও হয়েছিলো, কাফের থাকলে ওই টাকি দুহরাতে হবে?
২.এখনের আকিদা কি ঠিক আছে?
৩.দেহবাদী আকিদা যারা রাখেন, বা আল্লাহকে সত্ত্বাগত ভাবে একটা স্থানে(আরশে) থাকার আকিদা যারা রাখেন, তাদের কি কাফের বলা যায়? না কি শুধু আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদার বাইরের বলা যায়?
৪.আবু হানিফা (রঃ) না কি বলেছেন যে বলবে আল্লাহ আরশে না জমিনে আছেন জানি না সে কাফের,কারন এতে আল্লাহর জন্য স্থান নির্ধারন হয়। পর্যাপ্ত ইলমের অভাবে কেও যদি এই বিশ্বাস মনে রাখে সে ও কাফের হবে? আমি কখনো এই রকম কথা বলছি বলে মনে হচ্ছে না, তবে মনে মনে হয়তো ছিলো যা বিষদ ভাবে বুঝতে পারতামনা..