আসসালামু'আলাইকুম। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-
স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে কিন্তু সে যদি মিথ্যা বলে যে, আমি রাগের মাথায়, আর ভয় দেখানোর জন্য বলেছি যে 'তালাক দেবো' কিন্তু 'তালাক দিলাম' উচ্চারণ করিনি। তাহলে নাকি আল্লাহর কাছে স্বামী মিথ্যা বলার জন্য গুনাহগার হবে ঠিকই, কিন্তু তালাক নাকি কার্যকর হবেনা ( সত্যিকার অর্থে তালাক দেওয়ার পরেও)। আর স্ত্রী যদি মানুষের সামনে বলে যে স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে, তাহলে ৩ জন সাক্ষী ( পুরুষ) / ৬ জন সাক্ষী ( মহিলা) এর সামনে যদি স্বামী স্বীকার করে যে হ্যাঁ আমি রাগের মাথায়, ভয় দেখানোর জন্য দিয়েছিলাম, এখন মেনে নিয়েছি কেবল তখনই নাকি তালাক কার্যকর হবে। আর মিথ্যা বললে অথবা অস্বীকার করলে নাকি তালাক হবেনা, বউ নিয়ে সংসার করা যাবে।
১) স্বামী তালাক দিয়ে তা অস্বীকার করলে কি তালাক কার্যকর হয়না?
২) তালাক দিতে বা কার্যকর হতে কি কোনো সাক্ষীর প্রয়োজন আছে?
৩) সাক্ষীর ক্ষেত্রে ১ জন পুরুষ এর স্থলে ২ জন নারীকে গণনা করা হয়, অর্থাৎ যেখানে ৩ জন পুরুষ সাক্ষী হলেই চলে, ওখানে নারী বিবেচনায় ৬ জন নারী সাক্ষী লাগবে। এটা কতটুকু সত্য আর তালাক এর ব্যাপারে এর প্রভাব কি?
[ বিঃদ্রঃ- তিন মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে ফোনের মাধ্যমে স্বামী স্বাভাবিক কন্ঠে বলেছিলো, "তোমাকে আমি 'তালাক' দিলাম। এখন ফোনটা তোমার মায়ের কাছে দাও।" শাশুড়ীর কাছে সে বলেছে- "আপনার মেয়েকে আমি 'বাইন তালাক' দিলাম ( বাইন বলতে সাধারণত পরিপূর্ণ তালাক বলাই উদ্দেশ্য থাকে বাংলাদেশি যুবকদের মধ্যে, উল্লেখ্য, স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে তার খবর দেওয়ার জন্য শাশুড়ীর কাছে ঐটা বলেনি।) আর এটা নিশ্চিতই যে সে তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তালাক দিয়েছে ভেবেচিন্তে, কোনো রাগের মাথায়ও না, ভয় দেখানোর জন্যও না। কারণ, সে ঐদিন এর পর থেকে ৩ মাস ( ১১ দিন কম) কোনো যোগাযোগ ও ভরনপোষণ করেনি। নিশ্চয়ই কেউ ভয় দেখানোর জন্য বা স্ত্রীকে সাময়িক শায়েস্তা করার জন্য গর্ভাবস্থায় সেই স্পর্শকাতর মুহূর্তে তার স্ত্রীকে এভাবে একা ছেড়ে দেওয়ার কথা নয়। ]