আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
291 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম। তালাকের মজলিস নিয়ে একটি প্রশ্ন ছিল। একজন স্ত্রীর আগে বিয়ে হয়েছিল এবং তালাকও হয়েছিল। এখন তার মনে সন্দেহ হয় আগের তালাক সঠিক হয়েছিল কিনা। তাই বর্তমান স্বামীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলে। তখন বর্তমান স্বামী বলে হয়েছিল হয়তো সঠিক ভাবেই। এবং সে এই বিষয়ে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে তেমন পছন্দ করতো না। তার স্ত্রী আরেকদিন এই বিষয়ে কথা বললো যে,  কোন একটা হুজুরের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে চায় আগের তালাক সঠিক হয়েছিল কিনা। এই কথা শুনার পর তার বর্তমান স্বামী বলে এই বিষয়ে আমার সামনে আর কিছু বলবা না। বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ। এই কথাটা সে তালাকের জন্য বলেনি। সম্পূর্ন নিয়ত ছাড়া বলেছে।সে বিরক্ত হয়ে বলেছে। তালাক দিবে এইসব ভাবেনি। এখানে কোন ঝগড়া বা রাগারাগি হয়নি বা স্ত্রী তার বর্তমান স্বামীর থেকে তালাক চায় এই ধরনের কিছু বলেনি৷ তাহলে কি এটা তালাকের মজলিশ হবে? আর বর্তমান স্বামীর সব শেষ কথার মাধ্যমে কি তালাক পতিত হবে? আমি শুনেছি তালাকের মজলিস হলে নিয়ত ছাড়াও তালাক পতিত হয়। তাই এই শর্তমূলক কেনায়া শব্দ বলার সমত তালাকের কোন নিয়ত না থাকা সত্ত্বেও কি তালাকের শর্ত পতিত হবে? কারণ কথাটা তার স্বামী বিরক্ত হয়ে বলেছিল যাতে স্ত্রী পরবর্তীতে আর এই কথা না বলে, তালাকের কোন নিয়তেই বলেনি।  এই কথা বলার সময় কি তালাকের মজলিস ছিল কিনা। দয়া করে উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/35620 নং ফাতাওয়ায় বলেছিলাম যে,
পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ-
وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ
পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।

فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ
(১) খশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য।

وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
(২)তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাকের মজলিস হওয়ার অর্থ হল, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া বা স্ত্রীর পক্ষ্য থেকে অন্য কেউ স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে তালাকের মজলিস হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...