আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
edited by
১।আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ ।ধরেন একটা মেয়েকে স্বামী মুখে বা লেখার মাধ্যমে যদি তালাকের পাওয়ার দেয়।কিন্তুু স্বামী বা স্ত্রীর কেউই জানে না ইসলামে মেয়েরা এই অধিকার পায়,যে সেটা।মনে করেন স্ত্রীও জানত না।কোনদিন ধরেন শুনেও নি।শুধু জানত আদালতের মাধ্যমে দেওয়া যায়।যদি স্ত্রী স্বামীকে বলে আমি একা থাকতে চায়,যেখানে তুমার ছায়াও পরবে না বা যদি বলে মুক্তি চায়। কথাগুলো যদি মেসেজে হয়।স্বামী যদি এমনিতে বলে ঠিক আছে বা ঠিক আছে থাক একা , আর মুক্তি দিলাম না বলে,শুধু ঠিক আছে বা ঠিক আছে একা  থাক বলে।এখানে স্বামীর যদি নিয়ত না থাকে তালাকের , আর স্ত্রী যদি রাগ করে বলে বা স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলে তাহলে কি সমস্যা হবে? স্ত্রী যদি নিজের দিকে ইন্গিত না করে বলে তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?কারন ধরেন স্ত্রী শুনেও নি  মেয়েরা নিজেদের তালাক দিতে পারে যে সেটা।ইন্গিত করলেও হয়ত স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বললে কি সমস্যা হবে?ওরা একসাথে থাকলে কি কোন সমস্যা হবে, মানে মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করলে ?ধরেন কথাগুলো যখন বলেছে তখন তারা কেনায়া তালাক সম্পর্কেও কিছু জানত না।একদম কিছুই না।

২।একটা মেয়েকে তার স্বামী পাওয়ার দিছে তালাকের।তহ মেয়েটা চুরি করে বিয়ে করেছিল।কিন্তুু বাসায় এখনো মেনে নেই নি।তহ ওর খালারা ওর স্বামীকে নিচু করে কথা বলেছিল নিজেরা নিজেরাা।ওটা শুনে মেয়েটার খারাপ লাগছে।তহ মেয়েটা কথাগুলো বান্ধবীকে বলতেছিল।বান্ধবী বলতেছিল বেশি টাকা ওয়ালা কিজন্য ২ -৩ টাকে নিয়ে ঘুরে।তহ মেয়েটার খালাগুলোকে  ওদের স্বামীরা বিশ্বাস করে না।তহ ওটা নিয়ে মেয়েটা বলতেছিল বিশ্বাস করে না এগুলো কি বা কি জন্য।কি জন্য ওটা বলে নাই  মনে হয়, নাকি বলার সময় চুপ হয়ে যায়।বললেও হয়ত এত কিছু ভেবে বলে নাই।ওর স্পষ্ট মনে নেই।কারন ওই মেয়েটা মারাত্বক ওয়াাওয়াসায় আক্রান্ত। ওর ভয় হয় ওই কথাটা দ্বারা কি কোন শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবে কিনা।ওই মেয়েটা নাহ নাহ করতেছিল।সে ওই নিয়তে বলে নি।বলার সময়ও ভয়ে চুপ হয়ে যায়।আর না না করে মনে মনে।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০২)
ঐ কথাটা দ্বারা কোন শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবেনা।

এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...