আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (43 points)
আমি একটা অনলাইন বিজনেস করছি। কিন্তু,আমার বাবা অনলাইনে বিজনেস করাটাকে পছন্দ করবেন না বলে মনে হয়।তাই বাবাকে এ ব্যাপারে কিছু জানাই নি।

যেহেতু,আমার নিজের বড় পুঁজি নিয়ে বিজনেস শুরু করা সম্ভব হয় নি তাই আমি বাবা আমাদের পরিবারের জন্য যা আনেন তা থেকেই খাবার বানিয়ে বিজনেস শুরু করেছি।খরচ কত হয়েছে আমি হিসাব করে রেখেছি বাবাকে পরে দিয়ে দিব এই ভেবে।আমি যে বিজনেস এর জন্য বাবার আনা ময়দা ,ডিম ইত্যাদি ব্যবহার করছি তা বাবা জানেন না।

ব্যাপারটা অনেক টা এমন যে,আমি যা খেতাম তা না খেয়ে ওটা দিয়ে বিজনেস করছি।

এখন আমার আয়টা কি হারাম হবে?

 বাবার আনা  জিনিস থেকে আমি যা নিচ্ছি সবকিছুই কিন্তু হিসেবে আছে আমার যেন পরে দিতে পারি।

আর আমার কিছুদিন পর বাবাকে এ ব্যাপারে জানানোর ইচ্ছা ও আছে।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো পিতা যাহা প্রাপ্ত বয়স্ক  সন্তানের জন্য ক্রয় করে নিয়ে আসে,এটা সন্তানের কাছে হস্তান্তর (কবজা) হওয়ার পর  সন্তানের মালিকানায় চলে যায়।
চাইলে সন্তান এটা ব্যবহার করতেও পারে,চাইলে দানও করে দিতে পারে,চাইলে বিক্রয়ও করে দিতে পারে।
সন্তানের ইচ্ছা।
,
প্রশ্নে যেহেতু উল্লেখ আছে যে  "ব্যাপারটা অনেক টা এমন যে,আমি যা খেতাম তা না খেয়ে ওটা দিয়ে বিজনেস করছি।"
সুতরাং আপনি  যে বিজনেস এর জন্য বাবার আনা ময়দা ,ডিম ইত্যাদি ব্যবহার করতেছেন,এক্ষেত্রে সেখানে পরিবারের অন্যজনের হক না থাকলে,বা শুধু আপনার হক  যতটুকু,ততটুকু থেকেই থেকেই যদি আপনি এই ব্যবসা করেন,আর এই সম্পদ আপনার হস্তগত হওয়ার পর আপনি এই ব্যবসা শুরু করেন,তাহলে এটি জায়েজ আছে।
এতে বাবাকে জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। 
শর্ত হলো আপনার অনলাইন বিজনেসটি অবশ্যই হালাল বিজনেস হতে হবে।
,
★★পরবর্তীতে যেহেতু আপনি আপনার বাবাকে বিষয়টি জানানোর নিয়ত করেছেন,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত।  
,
(উল্লেখ্য যে আপনি প্রাপ্ত বয়স্ক না (নাবালেগ) হলে  এটা আপনার হস্তগত হওয়ার পরেও আপনার বাব্র মালিকানাতেই থাকবে,তাই সেই ছুরতে অবশ্যই বাবার অনুমতি লাগবে।)

হাদীস  শরীফে  এসেছে 

عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ

 ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয। 
(শু‘আবুল ঈমান ৮৩৬৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৬৯৫, মিশকাতুল মাছাবিহ ২৭৮১)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو
  شِهَابٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، - وَلاَ أَسْمَعُ أَحَدًا بَعْدَهُ يَقُولُ - سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الْحَلاَلَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ " . وَأَحْيَانًا يَقُولُ " مُشْتَبِهَةٌ " . " وَسَأَضْرِبُ لَكُمْ فِي ذَلِكَ مَثَلاً إِنَّ اللَّهَ حَمَى حِمًى وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَا حَرَّمَ وَإِنَّهُ مَنْ يَرْعَ حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكْ أَنْ يُخَالِطَهُ وَإِنَّهُ مَنْ يُخَالِطِ الرِّيبَةَ يُوشِكْ أَنْ يَجْسُرَ " .

আহমদ ইবন ইউনুস (রহঃ) .......... নু'মান ইবন বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। এ দুয়ের মাঝে কিছু সন্দেহজনক জিনিস আছে। আমি তোমাদের কাছে এর উদাহরণ পেশ করছি। আল্লাহ্ তা'আলা প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করেছেন, আর আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা হলো তিনি যা হারাম করেছেন, সেই সব বস্তু। বস্তুত যে ব্যক্তি এই নির্ধারিত সীমানার কাছে পশু চরাবে, তার পশু তাতে ঢুকার সম্ভাবনা আছে। একই রুপে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হবে, অচিরাৎ সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
(আবু দাউদ ৩২৯৬ মুসলিম শরীফ )


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...