জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
অন্যের সামনে নিজের স্ত্রীর প্রশংসা শরয়ী সীমারেখার আওতায় থেকে করা যাবে।
(ফিতনার আশংকা হলে কোনো পুরুষ এর সামনে বলা যাবেনা। যেগুলো বলা যাবেনা,সেগুলো বলা নিষেধ।)
তবে নন মাহরাম এর সামনে করা যাবেনা। কেননা তার সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى نِسَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ عَلَى خَدِيجَةَ وَإِنِّي لَمْ أُدْرِكْهَا . قَالَتْ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ذَبَحَ الشَّاةَ فَيَقُولُ " أَرْسِلُوا بِهَا إِلَى أَصْدِقَاءِ خَدِيجَةَ " . قَالَتْ فَأَغْضَبْتُهُ يَوْمًا فَقُلْتُ خَدِيجَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي قَدْ رُزِقْتُ حُبَّهَا " .
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খাদীজাহ্ ব্যতীত নবী সহধর্মিণীদের আর কারো প্রতি ঈর্ষান্বিত হইনি, অথচ আমার সাথে তার সাক্ষাৎ ঘটেনি। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বকরী যাবাহ করতেন তখন বলতেন, এর গোশত খাদীজাহর বান্ধবীদের পাঠিয়ে দাও। একদা আমি তাকে রাগিয়ে দিলাম এবং বললাম, খাদীজাহকে এতই ভালবাসেন? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেনঃ তার ভালবাসা আমার মনে জায়গা করে নিয়েছে। (মুসলিম ৬১৭২.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৬০, ইসলামিক সেন্টার ৬০৯৭)
আমর ইবনুল আস (রা.) বর্ণনা করেন, আমি নবী (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মানুষের মধ্যে কে আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বলেন, আয়েশা! (বুখারি, হাদিস : ৩৬৬২)
এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত খাদিজা (রা.) সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে তার প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দেওয়া হয়েছে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ২৪৩৫)
(০২)
এখানে উক্ত ছবি যে তুলেছে,এবং নন মাহরামদের কাছে পৌছানোর ব্যাপারে যারাই সহযোগিতা করেছে, সকলেই গুনাহগার হবে।
উক্ত মহিলার জন্য করনীয় হলো ছবিটি ডিলিট করে দেয়ার কথা তাদেরকে বলা।
(০৩)
সে মারা গেলে আপনি তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবেন।
আর আপনি মারা গেলে আপনার আমলের দরজা তো বন্ধ,এখন সেই ব্যাক্তি মাফ করলে মাফ হবে,নতুবা নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
আরো জানুনঃ-