আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১.হুজুর ইউটিউবে একদিন আমি একটি ভিডিও দেখতেছিলাম।সেখানে হুজুর বলছিল যে, ঈমান ভংগের কারন গুলো একজন সহিহ আকিদার হুজুর  থেকে ভালো ভাবে জেনে নিবেন। হুজুর আমি অই ভিডিও দেখার আগেই   ঈমান ভংগ নিয়ে অনেক বড় বড় আলেমদের কে বা তাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট কে ফোন দেই । তারা বলে হুজুর পরে কথা বলবে। পরে আর ফোন দিলে ফোন ধরে না। তাদের পেজ এ প্রশ্ন করি। সেভাবে উত্তর দেয় না। কোন হুজুর ফোন ধরলেও বেশি প্রশ্ন করা যায় না।       এজন্য  ইউটিউবে  অই ভিডিওর কথা শুনে এক্টু রাগ হয়।  রাগের কারনে হুজুরেরা যে ফোন দিলে ধরে না বা উত্তর দেয় না এটা আমার অন্তরে মনে হয় তখন আমি মুখে বলি যে, সঠিক আকিদা চোদাও( আস্তাগফিরুল্লাহ  )। হুজুর এটা আমি সঠিক আকিদার হুজুরদের যে সহজে পাওয়া যায় না এজন্য রাগের কারনে বলছি। হুজুর তখন আমি বাথরুমে ছিলাম সেখানেই সাথে সাথে আস্তাগফিরুল্লাহ পরছি। পরে আবার বাহিরে এসে আস্তাগফিরুল্লাহ পরছি। হুজুর এভাবে বলার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

২.উপরের অই গালি দেওয়ার পর আমার সবসময় মনে হয় যে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হল নাকি।একদিন আমি হাটতে হাটতে   আমি  মনে মনে ভাবি আমাদের সমাজে প্রচলিত   উপরের অই গালি দিয়ে মানুষ আর  কি কি বলে। এভাবে   ভাবার সময়  আল্লাহ সম্পর্কে একটা বাজে কথা বা গালি আমার মনে হয় (আস্তাগফিরুল্লাহ)।সাথে সাথে   আমি ইস্তিগফার পড়ি।হুুুজর  এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে।হুুুজর অই কথাটাা হটাৎ করে আমার মনে আসে। আমি ইচ্ছাকৃতভাবেে মনে মনে ভাবিি নাা  ই।

৩.হুজুর তারপর থেকে আমার আল্লাহ সম্পর্কে বিভিন্ন বাজে কথা মনে হতে থাকে। হুজুর এ নিয়ে আমি সবসময় চিন্তা করি। আমি এগুলো চিন্তা করতে চাই না তবুও এগুলো মনে হয়। নামাজের সময় মনে হয় । হুজুর আজকে যখন আমি বাথরুমে ছিলাম তখন আমি ভাবি যে, আল্লাহ সম্পর্কে যে বাজে কথা বা গালি আমার মনে হচ্ছে (আস্তাগফিরুল্লাহ) এভাবে ভাবার সময় আবার আল্লাহ সম্পর্কে বাজে কথা বা গালি মনে হয়ে গেল(আস্তাগফিরুল্লাহ) । হুজুর এভাবে ভাবার কারনে যে আল্লাহ সম্পর্কে কথা কথা গুলো মনে হল এটা কি ইচ্ছাকৃত ধরা হবে? এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?           হুজুর এগুলো আমি মনে করতে চাইনা তবুও আমার মনে হচ্ছে। সবসময় অই কথা গুলোই মনে হচ্ছে। আমি খুব পেরেশানিতে আছি হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূল

আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}
,
আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
কেননা এক্ষেত্রে আপনি ঐ ব্যাক্তিদের গালি দিয়েছেন,ইসলামের বিধান নিয়ে গালি দেননি।

(০২)
এক্ষেত্রে আপনার তওবা করতে হবে।
এমন ভাবনা মাথায় আসলেই বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।

(০৩)
এতে ঈমান চলে যাবেনা,তবে তওবা আবশ্যক হবে।
বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...