আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম,
ছাত্রাবস্থায় আমার এক বন্ধুকে নিয়মিতভাবেই কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করতাম। শুরুতে সে ১০০, ২০০ টাকা অল্প করে নিতো। এরপর একসময় নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে ১০০০, ২০০০ টাকা করে তাকে দিতাম।

যখন অল্প পরিমাণ টাকা দিতাম তখন ধার দিচ্ছি এমন নিয়ত করে দেইনি, কিন্তু যখন বড় পরিমাণে দিয়েছি তখন ধার দেয়ার নিয়তে দিয়েছি।
এখন সেই বন্ধুটি বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করে। ধার দেয়া টাকার সঠিক পরিমাণ আমাদের কারোরই সঠিক মনে না থাকায়, আমার বন্ধু বলে যে আনুমানিক ২৫,০০০ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে। আমিও এই এমাউন্ট মেনে নেই।

প্রশ্ন ১ঃ ধার দেয়া টাকার সঠিক পরিমাণ মনে না থাকায়, আমরা যে উভয়ে একমত হয়ে একটা পরিমাণ ঠিক করলাম, এটা কি সঠিক হলো? না হয়ে থাকলে করণীয় কি?

প্রশ্ন ২ঃ তার উপার্জন হারাম বিধায় তার হারাম উপার্জনের টাকা থেকে পাওনা আদায় করলে আমার জন্য সেই টাকা হালাল হবে কি? তার এই হারাম চাকরি ছাড়া উপার্জনের অন্য কোন পথ নেই।

প্রশ্ন ৩ঃ আমার আরেক বন্ধুকেও তার প্রয়োজনের সময়ে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তখন ধারের নিয়ত করে দিয়েছি কি না মনে নাই, তখন তার অবস্থা এতই করুণ ছিলো যে, ফেরত নেয়ার চিন্তাই করিনাই, এখন সেই বন্ধু যদি নেয়ার সময় " ধার নিচ্ছি " এই নিয়তে নিয়ে থাকে, তাহলে আমি কি সেই টাকা ফেরত নিতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
উভয়ের সম্মতিতে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে করা এই সিদ্ধান্ত সঠিক হিসেবে ধরতে পারবেন।
সমস্যা নেই।

(০২)
হাদিস শরিফে এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
,
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء 
معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، 
الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37)

 যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
হারাম টাকার বিধান হলো তাহা মুল মালিককে ফেরত দেওয়া। 
সেটি সম্ভব না হলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ব্যাংকের হারাম বেতন দিয়ে করজ আদায় করা জায়েজ হবেনা।

তবে সে এই টাকায় আপনার ঋন শোধ করলে আপনার জন্য তাহা ব্যবহার করা জায়েজ হবে।

(০৩)
সে দিতে চাইলে আপনি নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ উস্তাদ, আরেকটা প্রশ্ন করবো এই প্রসঙ্গে, ৩ নং প্রশ্নে আমি যদি বন্ধুকে জিজ্ঞেস করি যে সে দিতে চায় কি না, এতে কোন সমস্যা আছে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...