বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শুক্রবারের রাত্রের তাহাজ্জুদের আলাদা কোন বিশেষ মর্যাদা নাই,বরং অন্যান্য দিবাগত রাতের মতই এর স্বাভাবিক মর্যাদা রয়েছে।
(২)
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হল রোযা রাখার সময়সীমা। ফরয রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
স্মর্তব্য যে, আরবী দিনের সূচনা হয় সুবহে সাদিক থেকে। তাই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতটুকু সময় হয়, এর মাঝামাঝি সময়ের আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হবে।যেমন যদি সেহরীর সময় তথা সুবহে সাদিক শুরু হয় ৫টায়। আর সূর্যাস্ত হয়ে থাকে সন্ধ্যা ৭টায়। তাহলে একদিন হচ্ছে কত ঘন্টায়? ১৪ঘন্টায়।
সুতরাং সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।
এই রোযা হল, (১) রমজানের রোযা, (২)নির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩) এবং সাধারণ নফল রোযা।
(খ) রাত থেকে নিয়ত করতে হবে।
এ রোযাগুলি হল,(১) রমজানের কাযা রোযা (২)অনির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩)নির্দিষ্ট নযরের রোযার কাযা রোযা (৪) নফল রোযাকে ভঙ্গ করার পর কাযা করা(৫) কাফফারার রোযা সমূহ যেমন,(ক) জিহারের কাফফারা,(খ) হত্যার কাফফারা,(গ) কসমের কাফফারা,(ঘ) এবং ফরয রোযা ভঙ্গ করার কাফফারা সহ হজ্বের কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার কাফফারা ইত্যাদি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11221
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কাযা রোযা ভঙ্গ করলে শুধুমাত্র কাযাই আসবে।কাফফারা আসবে না এক্ষেত্রে।