আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
reshown by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।৪টা প্রশ্নের উত্তর দিয়েন শায়খ দয়া করে

১।একটা মেয়ে এমনিতে গান গাওয়ার সময় গানে একটা শব্দ আছে "তাক" ওটাকে ভুলে গান গাওয়ার সময় " তালাক" বলে ফেলছে।ওর কোন ইন্টেনশন ওই নাই এটা বলার।ওর স্বামী ওকে পাওয়ার দিছে।সে গাওয়ার পর না না বলতে আছে।কারন সে চায় না বিচ্ছেদ হোক।সে মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।সে অজান্তে বলে ফেলেছে। শব্দটা বলার পর পর  ওর মাথায় আসে এটা কি বলেছি।বলার আগেও মাথায় ছিল না কি বলতে যাচ্ছে,কারন সে যেটা বলতে যাচ্ছিল সেটার অর্থ আরেকটা। মুখ দিয়ে বের হওয়ার পর পর মাথায় আসছে।সে চায় না বিচ্ছেদ হোক,এমনকি সে তার মা বাবার সাথে সহ লড়াই করে যাচ্ছে স্বামীর সাথে থাকার জন্য।কারন স্বামীকে এখনো মেনে নেয় নি ওদের বাসায়।গানটা আগেও অনেকবার গেয়েছে।গাওয়ার সময় আগেও এমনটা বলেছে কিনা জানে না।কারন সে মনের অজান্তে বলে ফেলেছে।হয়ত আগে গাওয়ার সময়ও বলতে পারে,কিন্তুু ওর মনে নেই।আগে ধরতে পারে নাই বলেছিল কিনা।এগুলো নিয়ে সে মারাত্বক চিন্তায়।এটার দ্বারা কি বৈববাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?মনের অজান্তে এমন বললে তহ কোন সমস্যা হবে না তাই না?দয়া করে বলবেন।

২।শুনেছি মনের অজান্তে  এই শব্দ উচ্চারন করলে কোন সমস্যা হয় না।কোন ইন্টেনশন না থাকলে।তহ ওই মেয়েটা যদি আগেও এরকম গেয়ে থাকে,  মনের  অজান্তে  শব্দটা বলেও থাকে তাহলে তহ কোন সমস্যা হবে না তাই না?

৩।মনে হয় এই প্রশ্নটা আগেও করেছি,ঠিকি আপনি কোন সমস্যাই হবে না বলেছিলেন মনে হয়।ঠিক  প্রশ্ন কিনা মনে নেই।।স্ত্রী   যদি রাগ বা অভিমান করে বলে অন্য একজনকে বিয়ে করব যে আমাকে ভালবাসবে বা যদি বলে আপনাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটা করব গা।স্ত্রীর মন খারাপ থেকে বললে।এরপর স্বামী যদি বলে কর গা বা করলে কর গা বা পাও কিনা দেখ গা।মনে করেন স্ত্রীকেও পাওয়ার দিয়েছে মুখে। স্ত্রী কিন্তু নিজের দিকে কিছু ইন্গিত করে বলে নি,কারন স্ত্রী এসব কিছু জানত ও না তখন মানে আগে যখন বলেছিল তখন। স্বামী যদি বলে তালাকের  নিয়তে  কোনদিন কিছু বলে নি  বা উপরে স্ত্রীর কোন কথা দ্বারা কি ওদের বৈবাহিক সম্পর্কে  কোন সমস্যা হবে?

৪।নিজের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্ন করি  নি।কারন শুনেছি নিজের দিকে ইন্গিত করলে নাকি সমস্যা।প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্য করেছি।এতে কি কোন সমস্যা হবে?
by (9 points)
প্রশ্ন কোথায় লিখতে হয় একটু বলবেন

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)

لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
যদি স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাকের মাস'আলা মাসাঈলকে বারংবার বলা হয়, যেমন স্বামী বলল, তুমি তালাক,এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীকের তালাকের উদ্দেশ্য নেই, তাহলে স্ত্রী তালাক হবে না।(ফাতহুল কাদির-৪/৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
তালাক হবে না।

(২)
জ্বী, আগেও তালাক হবে না।

(৩)
প্রশ্নের বিবরণমতে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)
কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...