আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
reshown by
আমি মাদিনা হালাকায় হিফজ করি।সেখানে হায়েজ অবস্থায়ও পড়া দিতে হয়।উস্তাজা মাদিনায় থাকেন।।উস্তাজা বলছেন এসময় মুখ পবিত্র থাকে,তাই পড়া দিতে পারবে।হায়েজ অবস্থায় পড়া বন্ধ রাখলে অনেক পিছিয়ে যাবে,তাই হিফজ চালু রাখতে বলছে।হায়েজের সময় এতদিন পড়া বন্ধ রাখলে,উস্তাজ আমাকে ক্লাসে রাখবেননা।

এখন‌ মাদিনা হালাকায় পড়া দিতে গেলে আমাকে অন্য মাযহাবের ফিকহ অনুসরণ করতে হয়।

কিন্তু এঅবস্থায় বাংলাদেশের কোথাও পড়তে গেলে আমি হানাফি ফিকহ অনুসরণ করি

মাদিনা হালাকায় ফ্রী হিফজ করানো হয়।আমার খুব ইচ্ছে হিফজ করার, কিন্তু সামর্থ্য নেই।তাই এটা ছাড়তে চাইছিনা।

১/একই জিনিসের জন্য দুই মাযহাব মানলে সমস্যা হবে?

যদি সমস্যা হয়,তাহলে আমি কি করবো?

২/হায়েজের সময় মোবাইল থেকে হিফজ করে উস্তাজাকে পড়া দিতে পারবো?

৩/আমার প্রচুর চুল পড়ছে।এর জন্য ডাক্তার দেখাতে চাইছি।ভালো মহিলা ডাক্তার না পেলে ,ভালো পুরুষ ডাক্তার দেখানো যাবে?? পুরুষ ডাক্তার চুল দেখলে গুনাহ হবে?

চুল পড়া বন্ধের কোনো দোআ আছে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"
মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব। এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই বা এক মাযহাবকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক,এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য।

https://www.ifatwa.info/2040 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করার যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য) এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যেকোনো একটি মাযহাবকে মানতে হবে।

(২)
https://ifatwa.info/44403

(৩)
জ্বী, প্রয়োজনে বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তার দেখাতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
তাহলে আমাকে হিফজ বন্ধ করতে হবে, কিন্তু আমি এটা চাইনা।অফলাইনে সম্ভব না,অনলাইনে হিফজ কোর্স হাদিয়া সামর্থ্যের বাইরে।হানাফি অনেক বোনেরাও এঅবস্থায় পড়া দেয়।
এখন শুধু এক্ষেত্রে উস্তাজার কথা মতে হিফজ করলে গুনাহগার হবো?নাহলে আমি কিভাবে হিফজ করবো?
এই ফতোয়া অনুসরণ করা যাবে উস্তাদ?

by (583,410 points)
হায়েযের সময় আপনি কুরআন মুখস্থ করতে পারবেন না।জ্বী হ্যা, উপরে বর্ণিত ফাতাওয়া আপনি গ্রহণ করতে পারবেন।
by
উক্ত ফতোয়াতে বোনটি হিফজের ব্যাপারেই মাসালা চেয়েছে।
 সেখানে বলা হয়েছে সাময়িক সময়ের জন্য  অন্য মাযহাব অনুসরণ করা যাবে।তার মানে তো আমি হিফজ করতে পারবো , কুরআন স্পর্শ না করে।
আমার জন্য দোআ করবেন,আল্লাহ যেনো আমার জন্য হিফজ করা সহজ করে দেয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...