আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

।।আসসালামু আলাইকুম ।। 

★ একজন  মসজিদে দান একটি কুরআন অনুবাদ  করেছিল বা দিয়েছিল(দান করেছিল কি এমনি রেখেছিল তা জানি না,বেশ কিছুদিন মসজিদে ছিল)। তারপর আমি তাকে বলি যে, "আমি ওইটা বাড়ি নিয়ে যাব" এবং সে আমাকে নিতে বলে কেউ পড়েনা তাই দেখে। তার বেশ অনেক দিন পর আবার একই কিতাব আরেকটি এনে মসজিদে রাখে। 

১// এখন, আমার বাড়ি এনে কি ওইটা ব্যবহার জায়েজ? যেহেতু সে মসজিদে দেয়ার পর আবার আমাকে দিছে[যদিও পরে একই জিনিস অন্য একটি মসজিদে দিছে]
২// জায়েজ না হলে জায়েজ করা যায় কিভাবে?

আমরা আল্লাহর ইবাদত করতে পারলে বলি_"আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ ❝তাওফীক❞ দিয়েছিলেন তাই অমুক ইবাদতটা করতে পারিছি"। ইসলামের বিশুদ্ধ আক্বীদা তাই- আল্লাহ তাওফীক না দিলে আমরা কোন ইবাদত করতে পারতাম না। 
এখন প্রশ্নঃ
     ৩// আল্লাহর তাওফীক মানে উপরের মতো তাওফীক না দিলে আমরা অমুক ইবাদত করতে পারতাম না।আবার,❝আল্লাহ মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছে❞ তাহলে তো মানুষ এমনিই ইবাদত করতে পারে? 
তাহলে, এখানে তাওফীক এবং স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি কি সাংঘর্ষিক?
      ৪// আল্লাহর তাওফীক কি শুধু তার ইবাদতে এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? নাকি সাধারন দুনিয়াবি কাজ যেমনঃ বাজার করা। আল্লাহ তাওফীক না দিলে বাজার করতে পারতাম না?
      ৫// আল্লাহর নাফরমানির উভয় ক্ষেত্রে অর্থাৎ, আদেশ পালন না করা(নামাজ না পড়া) ও নিষিদ্ধ কাজ করা(মদ খাওয়া)। উভয় ক্ষেত্রে “পৃথকভাবে” আল্লাহর তাওফীক কি প্রযোজ্য আছে?থাকলে তা ক্যামন ভাবে? 

1 Answer

0 votes
by (713,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু গ্রন্থের মালিক এটার বদলে আরেকটি মসজিদে দিয়েছে, তাহলে এতে জায়েয হবে। হ্যা, মসজিদ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। কেননা মনজিদে দেয়ার পর দাতার মালিকানা শেষ হয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের মালিকানা চলে আসে।সুতরাং কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে।মসজিদ কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দিলে, তখন জায়েয হবে না।

(২+৩)
নেকি বা বদি, যে কোনো কাজ করার স্বাধীনতা আল্লাহ প্রত্যেক বান্দা কে দিয়েছেন। যখন বান্দা কোনো কাজ করার নিয়ত করে তখন আল্লাহ সাথে সাথেই ঐ কাজের সক্ষমতা তাকে দান করেন। যাকে সক্ষমতা দান করেন, সে কাজ করতে পারে। আর যাকে সক্ষমতা দেয়া হয়না, সে উক্ত কাজের নিয়ত করার পরও ঐ কাজ সে আর করতে পারে না।

যেমন, কেউ একজন হজ্বে যাওয়ার নিয়ত করলো, এবং অন্য একজন গানে যাওয়ার নিয়ত করলো, এ দুজনই তাদের স্বাধীনতা হিসেবে,তারা নিজে নিজে কাজের চয়েজ করেছে।এখন তাওফিক আল্লাহর কাছ থেকে আসবে।আল্লাহ তাওফিক দিলে সে তার নিয়তকে পূর্ণ করতে পারবে।আর অাল্লাহ তাওফিক না দিলে সে তার নিয়তকে পূর্ণ করতে পারবে না। আল্লাহ মানুষকে নিয়তের কারণেই শাস্তি দিবেন। কেননা তাওফিক তো আল্লাহই দেন।

(৪)
আল্লাহর তাওফীক শুধু তার ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বরং সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

(৫)
নিয়তের কারণে শাস্তি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
reshown by
السلام عليكم ورحمة الله

সে দান না করলে কি মসজিদ কর্তৃপক্ষ এর কাছে অনুমতি নিতে হবে?????গ্রন্থ দাতার কাছে শুনলাম যে সে দান করেনি কিন্তু এই সে নিজে পড়বে আর অন্যরা চাইলে পড়বে এই নিয়তে এনেছিল। এবং আমি চাইলে সে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বাড়ি নেয়ার জন্য গ্রন্থ টা দিয়ে দেয়।
by (713,920 points)
জ্বী, এভাবে হলে সে আপনাকে সেই গ্রন্থ দিতে পারবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...