ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু গ্রন্থের মালিক এটার বদলে আরেকটি মসজিদে দিয়েছে, তাহলে এতে জায়েয হবে। হ্যা, মসজিদ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। কেননা মনজিদে দেয়ার পর দাতার মালিকানা শেষ হয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের মালিকানা চলে আসে।সুতরাং কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে।মসজিদ কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দিলে, তখন জায়েয হবে না।
(২+৩)
নেকি বা বদি, যে কোনো কাজ করার স্বাধীনতা আল্লাহ প্রত্যেক বান্দা কে দিয়েছেন। যখন বান্দা কোনো কাজ করার নিয়ত করে তখন আল্লাহ সাথে সাথেই ঐ কাজের সক্ষমতা তাকে দান করেন। যাকে সক্ষমতা দান করেন, সে কাজ করতে পারে। আর যাকে সক্ষমতা দেয়া হয়না, সে উক্ত কাজের নিয়ত করার পরও ঐ কাজ সে আর করতে পারে না।
যেমন, কেউ একজন হজ্বে যাওয়ার নিয়ত করলো, এবং অন্য একজন গানে যাওয়ার নিয়ত করলো, এ দুজনই তাদের স্বাধীনতা হিসেবে,তারা নিজে নিজে কাজের চয়েজ করেছে।এখন তাওফিক আল্লাহর কাছ থেকে আসবে।আল্লাহ তাওফিক দিলে সে তার নিয়তকে পূর্ণ করতে পারবে।আর অাল্লাহ তাওফিক না দিলে সে তার নিয়তকে পূর্ণ করতে পারবে না। আল্লাহ মানুষকে নিয়তের কারণেই শাস্তি দিবেন। কেননা তাওফিক তো আল্লাহই দেন।
(৪)
আল্লাহর তাওফীক শুধু তার ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বরং সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
(৫)
নিয়তের কারণে শাস্তি হবে।