بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
যার ওপর গোসল ফরয তার জন্য কোরআন পাঠ করা নিষেধ। কেননা,
রাসুলুল্লাহ ﷺ
বলেছেন,
لَا
تَقْرَأِ الحَائِضُ وَلَا الجُنُبُ مِنَ القُرْآنِ شَيْئًا
ঋতুবতী নারী ও জুনুব ব্যক্তি (যার ওপর গোসল ফরয) কোরআনের
কিছুই পাঠ করবে না। (তিরমিযি ১৩১, ইবনু মাজাহ ৫৯৫)
তবে গোসল ফরয অবস্থায় মনে মনে কোরআন পাঠ নিষেধ নয়। কেননা,
মনে মনে কোরআন পাঠ করাকে পরিভাষায়
‘তেলাওয়াত বা কেরাত‘ বলা হয় না; বরং পরিভাষায় একে ‘জিকর ও ফিকর’ বলা হয়।
যেমন, ইমাম কাসানি রহ. বলেন,
القراءة لا تكون إلا بتحريك اللسان
بالحروف
যবান হরফসহ নড়াচড়া ছাড়া কেরাত হয় না।
(বাদায়ে’ ৪/১১৮)
দুই- বিনা ওযুতে কোরআন পড়া যায় ;
তবে কোরআন স্পর্শ করা যায় না। হাদিস
শরিফে এসেছে, আলী রাযি. বলেন,
كان
رسول الله ﷺ يقضي حاجته, ثم يخرج فيقرأ القرآن ويأكل معنا اللحم, ولا يحجبه ”
وربما قال لا يحجزه ” من القرآن شيء ليس الجنابة
রাসুলুল্লাহ ﷺ
পায়খানা হতে বের হয়ে কোরআন পড়তেন এবং আমাদের সাথে গোশত খেতেন। গোসল ফরয হওয়া ছাড়া
কোরআন হতে তাঁকে কোন কিছু বাধা দিতে পারত না। (মুসনাদে আহমাদ ৬৪০)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
১.অপবিত্র অবস্থায় দুআ পড়তে কোন সমস্যা নেই। তবে তিলাওয়াত
করা নিষিদ্ধ। যেকোন দুআ পড়ার অনুমতি আছে।
ولا
بأس لحائض وجنب بقرءة أدعية ومسها وحملها (الدر المختار، كتاب الطهارة، باب
الحيض-1\488، حلبى كبير-59، الفتاوى الهندية-1\39، جديد-1\92-93
অর্থ ঃ হায়েজা নারী ও অপবিত্র ব্যাক্তির জন্য দুআসমূহ পাঠ
করা ও তা স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
২.আপনার বর্ণিত তাওবার পদ্ধতি ঠিক আছে,
এভাবে আপনি তাওবাহ করতে পারবেন।