জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)
ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যিনি ঐ ছবি বানাতে দিয়েছিলেন,যারা সহায়তা করেছে, যারা বাসায় ছবিটি স্থাপনে সহায়তা করেছে,যারা সমর্থন দিয়েছে,সকলেই শাস্তি পাবে।
তবে যারা এর বিরোধিতা করে খুলে ফেলার আহবান দিয়েছে,শরীয়তের মাসয়ালা সম্পর্কে তাদের বলেছে,তারা শাস্তি পাবেননা।
এক্ষেত্রে ঐ পরিবারের অভিভাবকগন যদি ছবি খুলে ফেলার আহবান না মেনে ওই ছবি রেখে দেয়,তাহলে ছবি রেখে দেয়ার দরুন অভিভাবক গন কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
نّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِهِ وَهْوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْئُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا، وَالْخَادِمُ رَاعٍ فِي مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ـ قَالَ وَحَسِبْتُ أَنْ قَدْ قَالَ ـ وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي مَالِ أَبِيهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ".
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের (দায়িত্ব) সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হবে। ইমাম একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তাঁকে তাঁর অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। পুরুষ তার পরিবার বর্গের অভিভাবক, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। নারী তার স্বামী-গৃহের কর্ত্রী, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। খাদিম তার মনিবের ধন-সম্পদের রক্ষক, তাকেও তার মনিবের ধন-সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, আমার মনে হয়, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেনঃ পুত্র তার পিতার ধন-সম্পদের রক্ষক এবং এগুলো সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং সবাইকে তাদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।
(বুখারী শরীফ ৮৯৩.২৪০৯, ২৫৫৪, ২৫৫৮, ২৭৫১, ৫১৮৮, ৫৬০০, ৭১৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪৯)
(০২)
হায়েযের সময় বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
পূর্ণ পর্দা সহকারে প্রয়োজনে বাহিরে যাওয়া যাবে।
(০৩)
এভাবে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নাজায়েজ হবেনা।
তবে ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে লেখাপড়া করলে শরীয়তের আরোপিত শর্ত গুলো মানতে হবে।
(০৪)
এতে গুনাহ হবেনা।
তবে ফিতনার যেনো কোনো আশংকা না থাকে।
(০৫)
এখানে হারাম জিনিসের মৌলিকত্ব পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়না।
(০৬)
অপ্রয়োজনীয় কথা না বললে এবং শরীয়ত বহির্ভুত কথা না বললে গুনাহ হবেনা।
তবে এখানে কোনো নারীর প্রোফাইল পিকচারে নারীর ছবি থাকলে এতে ঐ নারীর গুনাহ হবে,যেসমস্ত ছেলেরা সেই ছবি দেখবে,তাদেরও গুনাহ হবে।
সেক্ষেত্রে তাদের জন্য উক্ত গ্রুপে থাকা জায়েজ হবেনা।
(০৭)
হ্যাঁ পারবে।
(০৮)
ফিতনার যামানা হওয়ায় উলামায়ে কেরামগন নিষেধ করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে ফিতনার ০.০১% ও আশংকা না থাকলে বরং পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশ হলে যেতে পারবে।
তবে গভির রাত হওয়া যাবেনা।
(০৯)
না,এতে জুলুম হবেনা।