আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
.হুজুর ঈমান ভংগের  কারন জানার পর বিভিন্ন কথা  মনে পরছে-
১.হুজুর সম্ভবত প্রায় ৭-৮ বছর আগের কথা, আমি আর আমার কাজিন হাটছিলাম আর গল্প করছিলাম। তখন সম্ভবত খাওয়ার কথা উঠছিল। তখন আমার কাজিন বলেছিল যে,  কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন বা আল্লাহ বলেছেন  কুলু ওয়াশরাবু অর্থাৎ তোমরা খাও এবং পান কর। এই কথাটি সে ঠাট্রার ছলে বলেছিল নাকি মনে নেই।  সে এটা সম্ভবত তার বইয়ে পরেছিল তার সাথে আমিও বলেছিলাম নাকি আমার সঠিক মনে নেই। এই কথাটি যদি সে বা আমি  ঠাট্রার ছঅলে বলি তাহলে কি  তার  বা আমার ঈমানের কোন   সমস্যা হবে?    তখন ঈমান ভংগের কারন জানতাম না। হুজুর আমি বিবাহিত।
২.হুজুর এখনও আমি  প্রায়ই কুলু ওয়াশরাবু বা   তোমরা খাও এবং পান কর।এই কথাটা বলি এমনি বলি ভালো লাগে তাই ঠাট্রার জন্য না।এতে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। ঈমান ভংগের কারন জানার পর আমার মনে পড়ছে এই কথাটা।

৩.হুজুর কারো যদি হজ্ব নিয়ে বা মক্কায় যাওয়া নিয়ে ওভাবে আবেগ না থাকে, যদি মনে করে যে  মিনায় এতগুলো মানুষ কিভাবে থাকে, টয়লেটের তো সমস্যা হবে,  তারপর রাতে অতগুলো মানুষ তাবুর ভিতর থাকতে তো ভেজাল   হবে, তারপর এতগুলো মানুষ একসাথে তাওয়াফ করতে তো সমস্যা হবে কার পায়ের নিচে কে পরবে। এরকম কেউ যদি ভাবে তাহলে কি তার ঈমান থাকবে বা ঈমানের কোন  সমস্যা হবে?

৪.হুজুর কেউ যদি ঈমান ভংগের কারন জানে,  কিন্তু কোন কথা বলা কোন বিশ্বাস করার সময় তার মনে না থাকে যে,  অই কথা বল্লে ঈমান ভাংগে বা অই কথা বিশ্বাস করলে ঈমান ভাংগে। তাহলে যখনই মনে পরে তখনই ইস্তিগফার পরে তাহলে কি তার ঈমানের  সমস্যা হবে?
৫.কেউ যদি কারো কোন কাজ দেখে বা কোন কথা শুনে মনে মনে ভাবে যে,  সে মনে হয় মুসলিম নেই বা সে মনে হয় কাফের হয়ে গেছে।   এই কথা ভাবার দারা বা মনে করার দারা  কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৬.হুজুর আমরা বন্ধুরা অনেক সময়  মজা করে বলি যে, তাকে মারা বা তার উপর কোন কাজ করা ফরজে আইন হয়ে গেছে।  এরকম কথা বলার দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৭.হুজুর ন তুন দাড়ি রাখছি। স্ত্রি যদি বলে যে এইবার কোন কাজ করলে দাড়ি ধরে টান দিব বা এই জাতিয় কথা বলছে। এমনি এই কথা বলছে মজা করে। এই কথা বলার দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৮.হুজুর দাড়ি রাখার কারনে পরিবার থেকে বলে যে অত বড় দাড়ি রাখতে হবে না। দাড়ি ছোট কর। তাহলে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  তারা ঈমান ভংগের কারন জানে না

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
এখানে শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করা হয়নি,তাই এতে সে কাফের হবেনা।
আপনি বললেও কাফের হয়ে যাবেননা।

(০২)
এতে আপনার ঈমান ভেঙ্গে যাবেনা।

(০৩)
এতে ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
সে যদি জানার পরেও ভুলে গিয়ে কুফরি কাজ করে তাহলে মনে আসার পরপরই তওবা করলে ঈমান ভেঙ্গে যাবেনা।

(০৫)
এতে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৬)
একথা বলার দরুন ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৭)
সে তো দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা মূলক কথা বলেনি,তাই এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে তাকে সতর্ক থাকতে হবে,দাড়ি নিয়ে এহেন কোনো কথা বলা যাবেনা।

(০৮)
এতে তাদের ঈমানের সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (27 points)
 হুজুর কুলু ওয়াশরাবু এটা তো কুরানের আয়াত। তাই এটা নিয়ে ওভাবে বলার কারনে কি কোন সমস্যা হবে?  হুজুর দয়াকরে উত্তরটা দিবেন।            

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...