আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
প্রশ্ন ১ঃ  আমার স্ত্রী তার কাজিনের ছেলে হওয়ার পর সেই ছেলেকে জামাই  বনাবো বলত ( অর্থাৎ ভবিষৎতে নীজের মেয়ের সাথে ঐ কাজিনের ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য এমনটি বলত)। এবং এক বার ঐ কাজিনের স্ত্রী ফেসবুকে তার ছেলের ছবি দিয়ে পোষ্ট করলে সেখানে আমার স্ত্রী, জামাই বানাবো বলে কমেন্ট করে এবং কাজিনের স্ত্রী কমেন্টের রিপ্লাই এ বলে বানিয়েও। আমার প্রশ্ন হলো জামাই বলতে তো অনেক এলাকায় নীজের স্বামীকেও বোঝায়। তো আমাদের নতুন বিয়ে হয়েছে।এই বিয়েতে কি কোন সমস্যা হবে কি না মানে শরীয়ত সম্মত কিনা? আর যদি আল্লাহ্ চাই তো আমাদের যদি ভবিষ্যতে কোন কন্যা সন্তান হয়, তো তাকে ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দিতে হবে কি না?

প্রশ্ন২ঃ আমার শ্বশুর বাড়িতে আগে একটা বিধবা মহিলা কাজ করত। তো যখন আমার ছোট শ্যালক হয় তখন সবাই মজা করে বলতো আরিকের শাহানা বৌ( আমার শ্যালকের নাম আরিক আর কাজের ঐ মহিলা টার নাম শাহানা) এবং আমার ছোট শ্যালক একটু বড় মানে যখন ৩-৪ বছর বয়স তখনও ঐ মহিলাকে শাহানা বৌ শহানা বৌ বলত এবং বড়ির সবাই আমার ছোট শ্যালকের সামনে শাহানা বৌ শাহানা বৌ বলে মজা করত।  কাজের মহিলা টাও আমার ছোট শ্যালক কে শাহানা বৌ শাহানা বৌ বলে মজা নিত এবং অন্যেরা বলেও ঐ মহিলাও বাধা দিত না।

এখন আমার জিজ্ঞেসা হলো ইসলামে যেহেতু বাল্য বিবাহ বৈধ্য তো এই ক্ষেত্রে এটা আমার শ্যলকের ভবিষ্যতে বিবাহে কোন সমস্যা হবে নাকি?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাদের বিয়েতে কোন সমস্যা হবেনা।
আপনাদের যদি ভবিষ্যতে কোন কন্যা সন্তান হয়, তো তাকে ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দিতে হবেনা।

আপনারা চাইলে যেকোনো জায়গায় বিবাহ দিতে পারেন,তা সাথেই দিতে হবে,এমন কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।

(০২)
সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত।

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। ( সহীহ বুখারী-৫১২০)

সুতরাং পাত্র বিবাহের প্রস্তাব পেশ করতে পারে,পাত্রীও প্রস্তাব পেশ করতে পারে।

قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.

সারমর্মঃ
ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।
ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।    

এমন সব শব্দে বিবাহ সংঘটিত হবে। যেমন বলা, (زوجت أو نكحت) আমি বিবাহ করলাম বা বিয়ে দিলাম। অথবা বলা, (قبلت هذا النكاح) আমি এ বিয়ে কবুল করলাম। অথবা (تزوجتها) আমি তাকে বিয়ে করলাম, বা (تزوجت) আমি বিয়ে করলাম, অথবা (رضيت) এ বিয়ে আমি রাজি আছি।

প্রস্তাব (الإيجاب): অলী তথা অভিভাবক অথবা যিনি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তার পক্ষ থেকে বিয়ে করার বা বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া। 

★ কবুল (القبول): স্বামী বা তার স্থলাভিষিক্ত থেকে বিয়ে কবুল করার শব্দ। যেমন বলা, (قبلت) আমি বিয়ে কবুল করলাম বা (رضيت هذا النكاح) এ বিয়ে আমি রাজি আছি বা শুধু কবুল করেছি বলা।

বিস্তারিত জানতে উক্ত লিংকে ক্লিক করুন।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটা আপনার শ্যলকের ভবিষ্যতে বিবাহে কোন সমস্যা হবেনা।

এভাবে ডাকার দরুন কোনো সমস্যা হবেনা।
এতে কোনো বিবাহ হয়ে যায়না।
বিবাহ সম্পাদিত হওয়ার শর্তাবলি সবগুলি এখানে পাওয়া যায়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...