ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আবু সাঈদ খুদরী
রাযি. বলেন, আমি রাসুল ﷺ
কে বলতে শুনেছি,
لا صَلاةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى
تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ وَلا صَلاةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ
ফজরের সালাতের পর
থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কোনো সালাত নেই। আসরের সালাতের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত
কোনো সালাত নেই।’’ সহীহ বুখারী ৫৫১
বি.দ্র- ফজরের
ওয়াক্তের শুরু থেকে ফজরের সালাত এবং ফজরের সালাত থেকে সূর্যোদয় এবং আসর থেকে
মাগরিব পর্যন্ত কাযা সালাত, জানাযার সালাত এবং সিজদায়ে তেলাওয়াত আদায়
করা মাকরূহ নয়। ফিকহুল ইবাদাহ লিল হালাবী
হযরত হাফসা রাঃ
থেকে বর্ণিত, নবীজী সা. বলেন,
إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ لاَ يُصَلِّى
إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ وفى رواية إلا ركعتي الفجر
রাসূল সাঃ ফজর
উদিত হবার পর ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত ছাড়া অন্য কোন সালাত পড়তেন না।’’ সহীহ
মুসলিম ১৭১১, সহিহ বুখারি ১১৭৩
ইমাম তিরমিযী
রাহি. বলেন,
وهو ما أجمع عليه أهل العلم، كرهوا أن
يصلي الرجل بعد طلوع الفجر إلا ركعتي الفجر.
আহলুল ইলম একমত
যে, কোনো ফজরের সময়
হওয়ার পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত সময়ে ফজরের দুই রাকাআত সুন্নাত ছাড়া
অতিরিক্ত নফল পড়াকে মাকরুহ মনে করেন।’’ তিরমিজি ৭৫
বিতরের নামাজ পড়তে পড়তে ফজর
শুরু হওয়া সম্পর্কে জানুন-
https://ifatwa.info/50664/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. বিতরের নামাজ কাযা
হয়ে গেলে আপনি চাইলে ফজরের নামাজের আগেও পড়তে পারেন। আবার বিতরের নামাজ কাযা পড়ার
মতো সময় অবশিষ্ট থাকলে ফজরের নামাজের পরেও পড়তে পারেন। এতে
কোনো সমস্যা নেই।
২. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ফজরের নামাজ পড়ার
পরে বিতরের নামাজ কাযা পড়ার মতো সময়
অবশিষ্ট থাকলে ফজরের নামাজের পরে বিতরের নামাজ
কাযা পড়লেও পুনরায় ফজরের নামাজ আর কাযা করা লাগবে না। বরং ফজরের নামাজ হয়ে যাবে।