আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
১.ফজরের নামাজ শেষে ঘুমালে যে স্বপ্ন দেখা হয়; সেটা কি কোনো অর্থ বহন করে মানে এমনি রাতে দেখা স্বপ্নের যেমন ব্যাখ্যা হয় তেমন কি ব্যাখ্যা হয়?

২.কেউ যদি কোনো আমল করে মনে করুন সূরা মুখস্থ করছে; সে যে করছে ,কিভাবে করছে, আগে করছিল না এই কথা গুলো যদি বারবার বলে; তাহলে তার আমলে কি কোনো সমস্যা হবে?

৩.একজনকে যদি তার আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় আর সে যদি না বলতে চায়; তাহলে কি তার গুনাহ হবে?

৪.সূরা মুলক মুখস্থ করলে কবরের আযাব থেকে কি সবাই রক্ষা পাবে অজস্র গুনাহ থাকা সত্ত্বেও?
৫. একজন যদি জীবনের অনেকগুলো বছর আল্লাহর নাফরমানিতে কাটায় এবং হেদায়েতপ্রাপ্ত হয়; তখন তো আগের সালাত গুলো কাযা করতে হবে। কিন্তু সে এত নামাজ কিভাবে পড়বে ভেবে হতাশ হয়ে যেতে পারে-এরকম ভেবে একজন যদি তাকে কাযা করার বিষয়ে না জানায় তাহলে কি সে গুনাহগার হবে? (মনে শঙ্কা জাগে সে হয়তো তার ইবাদাত কমিয়ে দিবে কিংবা হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দিবে)

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
রাতে দেখা স্বপ্নের যেমন ব্যাখ্যা হয় তেমন ব্যাখ্যা এই স্বপ্নেরও হবে।

(০২)
না,কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৩)
না,এতে গুনাহ হবেনা।
,
(০৪)
সুরা মুলক এর তিলাওয়াত সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ    

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( إِنَّ سُورَةً مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً ، شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ ، وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ )

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কুরআনের একটি সূরা যার ত্রিশটি আয়াত রয়েছে,ঐ সূরাটি তার তেলাওয়াতকারীর জন্য মাগফিরাতের দু'আ করবে।এই সূরাটি হল,সূরা মূলক।(সুনানু তিরমিযি-২৮৯১,মসনদে আহমদ-৭৯১৫)

হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عن جابر رضي الله عنه : " أن النبي صلى الله عليه وسلم كان لا ينام حتى يقرأ آلم تنزيل ، وتبارك الذي بيده الملك "
রাসূলুল্লাহ সাঃ সূরায়ে সেজদা এবং মূলক পড়া ব্যতীত শয়ন করতেন না।(সুনানু তিরমিযি-২৮৯২,মসনদে আহমদ-১৪২৪৯)
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি হাদীস শরীফে আসেনি।
সুতরাং উহা ভিত্তিহীন। 
,
(০৫)
সে হয়তোবা ইবাদত কমিয়ে দিবে,এমন আশংকা থাকলে আপাতত বলবেনা।
তবে পরে ঠিকই তাকে বলবে।
,
তাকে জিজ্ঞাসা করার পর গোপন করলে বা কাজা আদায় করতে হবেনা বললে ঐ ব্যক্তি গুনাহগার হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...