ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
উল্লেখ রয়েছে যে,
বিবাহের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্ত্র দান করা।এটা স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার ও হক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।
এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)
নারীদের সাথে সদ্ভাবে ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে নিয়মমাফিক অন্ন-বস্র-বাসস্থান দিতে হবে,স্ত্রীর চিকিৎসা করানো স্বামীর উপর ওয়াজিব নয় এবং ঘরের রান্নাবান্না স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়।তবে উভয়টা একটি ভালো ও উত্তম এবং প্রশংসনীয় কাজ ।
স্ত্রীর বাসস্থান কি রকম হবে?
এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামদের নিম্নোক্ত কিছু আলোচনা লক্ষণীয়.....
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহ উনার চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী উক্ত আলোচনার বিস্তারিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা করেন,যা নিচে পৃথক পৃথকভাবে উল্লেখ করা হল,
قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )
স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
স্ত্রীকে অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থান দান করা স্বামীর উপর ওয়াজিব। এবং এসব গুলো স্বামীর আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে। স্বামীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় মধ্যম ধরণের অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থান স্বামীর উপর ওয়াজিব হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর কর্তব্য।
তার যদি এটির সামর্থ্য থাকে,তাহলে সামর্থ্য থাকার পরেও প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিরাপদ বাসস্থান না দেয়ায় তার গুনাহ হবে।
আপনার স্বামীর জন্য নিজ মায়ের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা উচিত।
এরকম তাবিজ ইত্যাদি করার কুফল তাকে বুঝাতে হবে।
প্রয়োজনে যাদের কথা তার মা শোনেন,তাদের মাধ্যমে বুঝাতে হবে।
আপনার জন্য শরয়ী রুকইয়াহ এর ব্যবস্থা করবে।
,
পরিস্থিতি সমাধান না হলে আপনার জীবন বাঁচানোর তাগিদে আপনাকে নিয়ে তাকে অবশ্যই আলাদা কোথাও বাসস্থান নিয়ে থাকতে হবে।
যাতে তার তাবিজ ইত্যাদির দ্বারা যেনো আর সমস্যা না হয়।