বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান মতে মৃত্যুর আগে এমন যিয়ারত কর্ম জায়েজ নেই।
খোলাফায়ে রাশেদীনসহ কোন সাহাবী নবীজী সাঃ এর জন্য উপরোক্ত কাজ করেননি। কোন মুহাদ্দিস, কোন মুফাসসির, কোন তাবেয়ী, কোন তাবে তাবেয়ী, কোন মুজতাহিদ ইমামগণ এ ধরনের কাজ করেননি।
কুরআন ও হাদীস বা ফিক্বহের কিতাবে এরকম রুসুমের কথা উল্লেখ নেই। তাই এসব পালন করা বিদআত।
কেননা রাসূল (সা.) এর জামানায় কিংবা সাহাবা-তাবেয়ীনদের জামানায় এর কোনো নজীর পাওয়া যায় না।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ
‘যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে তার কর্ম প্রত্যাখ্যাত হবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৬৯৭]
আরো জানুনঃ-
(০২)
আপনার জন্য সহযোগিতা করা,যাওয়া কোনোটাই জায়েজ হবেনা।
আপনি তাদেরকে এক পরামর্শ দিবেন,সেটা হলোঃ
আপনার দাদির জীবনে যদি কাজা নামাজ,কাজা রোযা থেকে থাকে,যাহা তিনি আদায় করেননি,শরীয়তের মতে প্রত্যেকটি নামাজ ও প্রত্যেকটি রোযার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ফিদইয়াহ রেডি করতে।
যাহা আপনার দাদি মারা যাওয়ার পর গরিব মিসকিনকে দিবে।
প্রত্যেক নামাজ/রোযার ফিদইয়াহ হলো এক সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ গম,আটা বা সমপরিমাণ টাকা।