বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাই

Question

আসসালামু আলাইকুম
খুব বড় সমস্যায় আছি।

প্রশ্ন ঃ আমার বিয়ে ঠিক হইছে। আমার বয়স ২৮+ আর মেয়ের বয়স ১৯ হবে। মেয়ে পাগলের মত একটা ছেলেকে ভালবাসে।এটা বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে জানতে পারলাম ঐ মেয়ের কাছেই।আমাকে সব কিছু বললো। ছেলেটা ও মেয়েটাকে অনেক ভালবাসে।ভালবাসাটা এত গভির যে মেয়েটা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে নিজের হাতও কাটছে অনেক। তাদের বিয়েতে বাধা হল ছেলের মা মেয়েকে পছন্দ করে নাই। আর এই ঘটনার কিছুদিন পরেই মেয়ের বিয়ে আমার সাথে ঠিক হয়। আমি তাদের এই গভির ভালবাসার কথা শুনে আমাদের বিয়ে কিছুতেই মানতে পারছি না। আবার মেয়েটার মা বাবা নাই।জন্মের সময় মারা গেছে।এখন আমি চিন্তা করি আমি যদি বিয়ে ভেঙ্গে দিই তাহলে মেয়েটা এমনিতে অসহায় আরও অসহায় হয়ে পড়বে। এখন আমি করবো। ভাবতে ভাবতে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আবার কথা বলে যা বুঝতে পারলাম মেয়েটা মন থেকে ছেলেটাকে চাই।দয়া করে জানান।

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

    

إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!

খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। 

 তওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-

(বান্দার হক থাকলে আগে সেটি আদায় করে আসতে হবে,বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)

এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।

দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।

তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/7936/

,

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য পরামর্শ থাকবেঃ-

মেয়ে থেকে জেনে নিবেন, যে মেয়ে কি আপনাকে বিবাহ করতে মন থেকে রাজি কিনা?

যদি মন থেকে রাজি হয়,সেক্ষেত্রে সে যদি আগের সেই হারাম সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের হারাম সম্পর্কে আর না জড়ানোর ব্যাপারে আল্লাহর কাছে ও আপনার কাছে দৃঢ় সংকল্প করে,এবং খালেস দিলে আল্লাহ্ তাআলার নিকট তওবা করে (ক্ষমা প্রার্থনা) করে,তাহলে আপনি তাকে বিবাহ করবেন।

নতুবা তাকে বিবাহ করবেননা।