ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।
স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4506
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম স্বামী আপনাকে এক তালাক দিয়েছিলো, তারপর যদি তিন হায়েযের ভিতর স্বামীর সাথে আপনার যোগাযোগ না থাকে, তাহলে এই এক তালাক বায়েন হয়ে, আপনাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই আপনার অন্যত্র বিশুদ্ধ হয়েছে।তবে যদি এক তালাকের পর আপনাদের মধ্যে রাজ'আত হয়ে যায়,(এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50549) তাহলে প্রথম স্বামীর সাথে আপনার বিবাহ অবশিষ্ট থেকে গিয়েছে। আপনি হয়তো প্রথম স্বামীর কাছ থেকে তালাক গ্রহণ করবেন অথবা নিজে নিজের উপর তালাক গ্রহণ করে নিবেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত,
"তখন ডিভোর্স পেপার এ আমার সই নেন যেখানে লিখা ছিলো আমি স্ব জ্ঞানে তাহাকে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক তথা বাইন তালাক দিলাম।"
এই লিখা দ্বারা তালাক হবে না। সুতরাং আপনাকে আবার তালাক গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং এই হিসেবে আপনার দ্বিতীয় বিবাহ গ্রহণযোগ্য হয়নি, এবং তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না, কেননা বিবাহই তো বিশুদ্ধ হয়নি।