আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম । হুজুর এই বিষয় টা কি গীবত হবে ।
একদিন আমি আমার বোন , ভাই মাগরিবের সময় নাস্তার টেবিলে ছিলাম তখন মাগরিবের আজান দিলে আমার বোন আমাকে নাস্তা করতে বললে আমি বলি , ইমাম আজান দেওয়া আর নামাজ পড়া একই । অর্থাৎ আমি এটা দিয়ে বুজতে চাইছিলাম যে ইমাম সাহেব তাড়া তারি নামাজ পড়াই পেলবে । তখন আমার মনে সন্দেহ হয় যে আমি ইমামের নামে গীবত করি পেললাম না ত । তখন আমার ভাইও মজা করে  বলল ইমাম সাহেব মনে হয় তাকবীর দিয়ে আজান দেয় । তখন আমার আপু বলে ইমাম এত তাড়াতাড়ি নামাজ পড়াই কেন ? তখন আমি বলি যে, না ইমাম সাহেব টিক আছে ।অনি আজান এর পরে সময় দেন । আমার ভাইও আমার পক্ষে সমর্থন দিয়ে বলে । হে ইমাম সাহেব টিক আছে কিন্তু আমরা দেরি করি বিদায় আমাদের দেরি হয় ।
আমার এই ধারণা অর্থাৎ ইমাম যে তাড়াতাড়ি নামাজ শেষ করে পেলে সেটা আমার মত অনেকেই জানে । এবং সমালোচনা করে।
ইমাম যে নামাজ তারাতারি পড়াই সেটা কেউ বুল বলতে পারবেন বলে মনে হয় না । কারণ অনি সব রুকন গুলো আস্তে আস্তে করে টিক আছে কিন্তু সময় কম নেই শুধু ।
সুতরাং এটা  যেহেতু প্রায় কয়েকজন   জানে  তাহলে কি এটা গীবত হবে ?
যেহেতু আমি গীবত সন্দেহ করার পর আর কিছু বলি নাই সুতরাং এটা কি গীবত হবে ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনাদের উদ্দেশ্য, ইমাম সাহেবকে মন্দ বা খারাপ সাজানো নয়, বরং বাস্তবতা নিয়ে আপনারা আলোকপাত করেছেন, তাই এখানে গিবত হচ্ছে না।

হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 270 views
0 votes
1 answer 225 views
...