বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পরীক্ষার হলে ঢোকার পূর্বে বা বাসা থেকে বের হওয়ার পূর্বে দু-রাকাত নামায পড়ে ঘর থেকে বের হবেন।
প্রশ্নপত্র হাতে আসার পর,দুরুদ শরীফ পড়বেন।এবং নিম্নোক্ত আয়াতটি কয়েক মর্তবা পড়ে তারপর প্রশ্নপত্রের দিকে দৃষ্টি বুলাবেন।
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻻَ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻋَﻠَّﻤْﺘَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
(হে আল্লাহ)আপনি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদিগকে যা শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় আপনিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।(২/৩২)
ইমাম শা'ফেয়ী রাহ, তিনি উনার উস্তাদ ওকিহ রাহ,এর কাছে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য পরামর্শ চাইলে,তিনি গোনাহ পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।অর্থাৎ স্মৃতি শক্তি বাড়বে,যদি কেউ গোনাহকে পরিত্যাগ করে নেয়।
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কিছু কৌশল নিয়ে একটি আর্টিকেল অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে দিচ্ছি----
১. ইখলাস বা আন্তরিকতা: যে কোনো কাজে সফলতা অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে ইখলাস বা আন্তরিকতা। আর ইখলাসের মূল উপাদান হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়তের বিশুদ্ধতার গুরুত্ব সম্পর্কে উস্তাদ খুররাম মুরাদ বলেন,
“উদ্দেশ্য বা নিয়ত হল আমাদের আত্মার মত অথবা বীজের ভিতরে থাকা প্রাণশক্তির মত। বেশীরভাগ বীজই দেখতে মোটামুটি একইরকম, কিন্তু লাগানোর পর বীজগুলো যখন চারাগাছ হয়ে বেড়ে উঠে আর ফল দেওয়া শুরু করে তখন আসল পার্থক্যটা পরিস্কার হয়ে যায় আমাদের কাছে। একইভাবে নিয়ত যত বিশুদ্ধ হবে আমাদের কাজের ফলও তত ভালো হবে। ”
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম। ” [সূরা আল-বায়্যিনাহঃ ৫]
তাই আমাদের নিয়ত হতে হবে এমন যে, আল্লাহ আমাদের স্মৃতিশক্তি যেনো একমাত্র ইসলামের কল্যাণের জন্যই বাড়িয়ে দেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10395