ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহর তা'আলার বাণী
قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللَّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلَالًا قُلْ آللَّهُ أَذِنَ لَكُمْ ۖ أَمْ عَلَى اللَّهِ تَفْتَرُونَ
বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ যা হালাল করেছেন, সেটাকে হারাম সাব্যস্ত করা যাবে না।সুতরাং হালাল কোনো কিছুকেই হারাম সাব্যস্ত করা যাবে না।
(১)
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মিষ্টি খাওয়া হালাল। হারাম হবে কেন? হ্যা, উনার জন্য শারিরিক ক্ষতি হতে পারে।তবে হারাম হওয়ার কিছু নাই।
(২)
ডাক্তার যদি বলে কিছু দিন এই এই জিনিস খাবা না, তাহলে ঐ জিনিস না খেলে, ইমান চলে যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে।
(৩)
কেউ যদি যেনে বুঝে ইচ্ছে করে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে দেখানোর জন্য, অন্য কাউকে খুশি করার জন্য, অন্য কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য যদি পর্দা করে, তাহলে তার সওয়াব হবে না, সে রিয়াকার হবে,কিন্তু সে কাফের হবে না।
(৪)
এসব সংশয় মূলক প্রশ্ন করার কারনে বা এসব প্রশ্নের উত্তর না জানার কারনে বা এসব প্রশ্নে সন্দেহ থাকার কারনে,ইমান নষ্ট হবে না।