জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا
‘যাকে হিকমাহ দান করা হয়েছে তাকে অনেক কল্যাণ দেয়া হয়েছে।’ হিকমাহ যে পেয়েছে সে অনেক কল্যাণ পেয়েছে।
হিকমাহ শব্দের অনেক অর্থ আছে। কুরআন মাজীদেও বিভিন্ন অর্থে এই শব্দটি এসেছে। এই আয়াতে হিকমাহ এর যে অর্থ তা হল দ্বীনের সমঝ,বুঝ।
যে দ্বীন ইসলাম আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দিয়েছেন সেই ইসলামের সমঝ হল হিকমাহ বা হিকমত। মূল শব্দ হলো الِحكْمة। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন মাজীদ শিক্ষা দিতেন উম্মতকে, সাহাবায়ে কেরামকে।
কোনো সময় আয়াত তিলাওয়াত করে তিলাওয়াত শিখাতেন। সাথে সাথে আয়াতের বিধানের উপর আমল করে দেখাতেন। অর্থ বুঝিয়ে দিতেন। আর অনেক সময় আয়াতের মর্মকে বিভিন্ন ভাষায় বলতে থাকতেন। যাতে এই বিষয়টি তাঁদের হৃদয়ঙ্গম হয়ে যায়। আত্মস্থ হয়ে যায়। এই আয়াতটিকেও রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসরূপে বারবার বলেছেন সাহাবায়ে কেরামকে।
‘من يرد الله به خيرا يفقهه في الدينÕ
‘যার ব্যাপারে আল্লাহ কল্যাণের ইচ্ছা করেন তাকে দ্বীনের সমঝ দান করেন’। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৭১
মাহফিল শোনার কারনে হোক,বা হক্কানী আলেমদের কিতাব পড়ার কারনে হোক, বা তাফসীর পড়েই হোক,কিছু মাসআলা-মাসায়েল জানলাম, লিখলাম, মুখস্থ করলাম তাহলে কিছু তথ্য আমার কাছে আসল। খুব ভাল, অগ্রসর হলাম। শুধু কিছু তথ্য সংগ্রহ করার নাম সমঝ নয়। সমঝ আরো সূক্ষ্ম, আরো গভীর একটি ধাপের নাম।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে তাদের কিছু দ্বীনি জ্ঞান রয়েছে।
যদি সেটা ছহীহ হয় তাহলে।
,
নতুবা সেটাও বলা ঠিক হবেনা।