আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by
১. নবী(সাঃ) কোনো বক্তব্যকে কেও যদি বলে যে এই কথা আল্লাহ বলেছেন তবে সে কি কাফের হয়ে যায়?

যেমন বললোঃ নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়া, "আল্লাহ তো বইলাই দিছেন এমনটা হইবো"
(আসলে যা হাদীস এর তথা নবী করিম(সাঃ) এর কথা)

২.নবী (সাঃ) এর হাদীস গুলো কি কোনা না কোনো ভাবে  আল্লাহর জানিয়ে দেওয়া কথা না উনার একান্ত ব্যক্তিগত?এই বিষয়ে কোরআন সুন্নাহে কোনো নির্দেশনা আছে কি?

৩.কেও যদি হোস্টেলের হলে হিটার দিয়ে রান্না করে খাবার খায়, সেই খাবার কি হারাম হয়ে যাবে? মাঝেমধ্যে হিটার ইউজ করতে হয় এই ক্ষেত্রে করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (585,180 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَىٰ
নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।
مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَىٰ
তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَىٰ
তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَىٰ
সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল।
وَهُوَ بِالْأُفُقِ الْأَعْلَىٰ
উর্ধ্ব দিগন্তে,(সূরা আন-নাজম-১-৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অহী দুই প্রকার,(১)মাতলু- যার তিলাওয়া করা হয়,যেমন কুরআন। (২) গায়রে মাতলু- যার তিলাওয়াত হয়না, যেমন, হাদীস।

কুরআন যেভাবে অহী, ঠিক তেমনি হাদীসও অহী।পার্থক্য এতটুকু যে, কুরআনের শব্দ ও অর্থ আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে।এবং হাদীসের অর্থ আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে তবে শব্দ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর চয়নকৃত।

সুতরাং
নবী(সাঃ) কোনো বক্তব্যকে কেউ যদি বলে যে, এই কথা আল্লাহ বলেছেন, তবে সে কাফের হবে না। কেননা নবী সাঃ এর কথার সারমর্ম তো আল্লাহর তরফ থেকেই এসেছে।

(২)
জ্বী, নবী(সাঃ) এর হাদীস গুলো আল্লাহর জানিয়ে দেওয়া কথাই, উনার একান্ত ব্যক্তিগত কোনো কথা না।

(৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/36909


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...