ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَىٰ
নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।
مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَىٰ
তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَىٰ
তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَىٰ
সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল।
وَهُوَ بِالْأُفُقِ الْأَعْلَىٰ
উর্ধ্ব দিগন্তে,(সূরা আন-নাজম-১-৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অহী দুই প্রকার,(১)মাতলু- যার তিলাওয়া করা হয়,যেমন কুরআন। (২) গায়রে মাতলু- যার তিলাওয়াত হয়না, যেমন, হাদীস।
কুরআন যেভাবে অহী, ঠিক তেমনি হাদীসও অহী।পার্থক্য এতটুকু যে, কুরআনের শব্দ ও অর্থ আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে।এবং হাদীসের অর্থ আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে তবে শব্দ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর চয়নকৃত।
সুতরাং
নবী(সাঃ) কোনো বক্তব্যকে কেউ যদি বলে যে, এই কথা আল্লাহ বলেছেন, তবে সে কাফের হবে না। কেননা নবী সাঃ এর কথার সারমর্ম তো আল্লাহর তরফ থেকেই এসেছে।
(২)
জ্বী, নবী(সাঃ) এর হাদীস গুলো আল্লাহর জানিয়ে দেওয়া কথাই, উনার একান্ত ব্যক্তিগত কোনো কথা না।
(৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/36909