আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। আমার পরিবারে পিতা-মাতা বেদ্বীনদার, ইসলামের ফরজ বিধানগুলো ঠিকমতো পালন করে না। তাঁদেরকে বুঝালেও মাঝে-মধ্যে বুঝে অতঃপর আবার ঠিক আগের মতো হয়ে যায়। আবার সবচেয়ে বড়ো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমি জেনারেল পড়ুয়া একজন ছাত্র আর আর আমার পিতা-মাতা আমাকে দুনিয়াবি বিষয়ে অগ্রগতি করার জন্য অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করে এসেছে। মাঝে মাঝেই পরিবারের সাথে ঝগড়া হয়, মনে হয় যেন ঝঘড়া করা একটা রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে।
এখন প্রশ্নটি হলো সম্প্রতি আমি দ্বীনের গুরুত্ব বুঝতে পেরে দ্বীনের পথে আসতে চেয়েছি বা আসছি কিন্তু বেদ্বীনি পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে কান্না চলে আসে যেন মনে হয় আমি দূনিয়ামুখী কাফেরদের মতো হয়ে যাচ্ছি! আর এবছর ভর্তি পরিক্ষাতে ভালো ফলাফল না হওয়ার কারণে মানসিকভাবে খোঁটা দেওয়াও যুক্ত হয়েছে। অথচ আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে ভালো ফল করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু মেডিকেল ভর্তিপরিক্ষায় সরকারিভাবে কোথাও চান্স হয়নি।আর এজন্য চরম থেকে চরম মাত্রায় প্রতিদিন প্রায় ২-৩ বার বকাবকি করে। এতে খুবই খারাপ লাগে।
দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর পিতা-মাতাকে উলটো কিছু বলতেও পারি না। আবার মুখ বুজে এভাবে সহ্যও করতে পারছি না। তাঁরা পরিপূর্ণভাবে দ্বীন পালন করতেও ইচ্ছুক না। অনেক বুঝিয়েছি দীর্ঘদিন ধরে।

এখন এমতাবস্থায় পিতা-মাতার সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখে পরিবার থেকে দূরে থাকা যাবে কি?

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।(সূরা লুকমান-১৪/১৫)

وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ইসরাঈল-২৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতাকে সর্বদা অন্তর থেকে সম্মাণ করবেন।তাদের কখনো কটু কথা বলবেন না।তারা আপনাকে লেখাপড়াতে দুর্বলতার দরুণ যে কটুবাক্য বলছেন, সেটা মূলত আপনার ভালোর জন্যই। তাই মাতাপিতার সাথে সর্বদা উত্তম আচরণ করবেন।তাদের সন্তুষ্টি মূলক সকল কাজ করবেন। তাদের সন্তুষ্টি ও নিজের ভবিষ্যতের জন্য আরো উন্নত লেখাপড়া করবেন। সুতরাং তাদের কাছ থেকে দূরে থেকে নয়, বরং তাদের পাশে থেকেই তাদেরকে সাথে উত্তম আচরণ করবেন।তাদের খেদমত করে তাদের অন্তর থেকে নিজের জন্য দু'আ সংগ্রহ করবেন। তাদেরকে হেকমতের স্বাথে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...