বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/212 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফিৎনার আশংকা না থাকলে সফরের দূরত্বের চেয়ে কম (অর্থাৎ তিনদিন তিনরাত দূরত্বের জায়গা অথবা ৭৭(এক বর্ণনায় ৮২.৫) কিলোমিটারের চেয়ে কম) দূরত্ব মহিলার জন্য মাহরাম ব্যতীত সফর করা বৈধ রয়েছে। শায়খাইন রাহ তথা ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,একদিন একরাত দূরত্বের জায়গা থেকে কম হলে তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা হলে মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে।অন্যথায় পারবে না। বর্তমান এই ফিতনার যুগে নিম্নোক্ত মতামত-ই ফাতাওয়া তথা শরয়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য।তবে এখানেও ফিতনার আশঙ্কা না থাকা চাই।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;১৫/৪১৭)
https://www.ifatwa.info/572 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, মহিলাদের সর্বোত্তম পর্দা হচ্ছে ঘরের চার দেয়ালের ভিতর অবস্থান করা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার এবং আপনার মায়ের কোনো মাহরাম পুরুষ নেই, তাই আপনাদের উপর হজ্ব ফরয নয়। এবং মাহরাম ব্যতিত আপনাদের জন্য হজ্বে যাওয়াও জায়েয হবে না। আপনাদের সামনে দু'টি রাস্তা রয়েছে,হয়তো আপনি স্থায়ীভাবে ফুফাতো ভাইকে বিয়ে করে নিবেন।বা অন্য যে কাউকে বিয়ে করে নিবেন।তারপর আপনারা হজ্বে যাবেন। নতুবা হজ্বের রেজিষ্টেশন কে বাতিল করে দিবেন।
হ্যা,যদি টাকা পয়সা দিয়ে দেয়া হয়, এবং ফিরিয়ে আনা সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনারা নেককার মহিলাদের সাথে বা আপনার ফুফুর সাথে হজ্বে যেতে পারবেন।হজ্ব আদায় হবে ,কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।কেননা এখানে আপনারা মজবুর। কিন্তু যদি রেজিষ্টেশন বাতিল করা সম্ভবপর হয়, অার্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে আপনাদের জন্য এভাবে মাহরাম ব্যতিত হজ্বে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না।
শুধুমাত্র হজ্ব করার জন্য বিয়ের অভিনয় করা কখনো জায়েয হবে না। বরং এভাবে গেলে গোনাহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে।কেননা অভিনয় বিয়ে ইসলামে স্বীকৃত নয়।