জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অন্তর থেকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা,টেনশন একদম ঝেড়ে ফেলুন,
মনকে শান্ত রাখুন,
নিয়মিত ধারাবাহিক ভাবে সকাল বিকাল আল্লাহর যিকির করতে থাকুন-দেখবেন মন শান্ত হবে।
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)
প্রশ্নে উল্লেখিত যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন,এটা মাথায় আসলেও মনে করবেন যে এটা সম্পূর্ণভাবে শয়তানী ওয়াসওয়াসা। তাই মন থেকে এমন ভাব দ্রুত দুর করে দিতে হবে।
মনে এসব অবস্থা সৃষ্টি হয়,এহেন জায়গায় যাবেননা,এহেন কাজ করবেননা।
সবসময়েই বেঁচে থাকবেন।
এই অবস্থা তৈরী হলে আপনার জন্য উচিত হলো,সেই দিকে কোনোভাবেই ভ্রুক্ষেপ না করা,কেননা এটা শয়তানী ওয়াসওয়াসা। হাদিস শরিফে এটা থেকে বাঁচার নির্দেশ এসেছে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/১৭)
হাদিস শরিফে এসেছেঃ
فاذا بلغ ذلک فلیستعذ باللّٰہ و لینتہ‘‘
عن أبي ھریرۃ ص ، صحیح بخاری ، حدیث نمبر : ۳۲۷۶ ، باب صفۃ ابلیس و جنودہ ، کتاب بدء الخلق ، نیز دیکھئے : صحیح مسلم ، حدیث نمبر : ۱۳۴ ، کتاب الایمان ۔
যদি এমন পর্যায়ে পৌছে,তখন আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে,দ্রুত ত্যাগ করবে।’
إن النبي ا نھی أن یبول الرجل في مستحمہ ، وقال : ان عامۃ الوسواس منہ ، عن عبد اللہ بن مغفل ص (الجامع الترمذی ، حدیث نمبر : ۲۱ ، باب ما جاء في کراھیۃ البول في المغتسل ، کتاب الطھارۃ )
রাসুল সাঃ যেখানে পানি জমা হয়,সেখানে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন।(যাতে করে ওয়াসওয়াসা পয়দা না হয়।)
.
তাই শয়তানী এই ওয়াসওয়াসা অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
۔لاحول ولاقوۃ الا باللہ العلی العظیم
বেশি বেশি পড়বেন।
সব নেতিবাচক ধারণাকে পরিহার করুন।এবং একজন হকপন্থি আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গের সহচরী হোন।
বুজুর্গের কাছে সবকিছু খুলে বলবেন।তাবলীগে কমপক্ষে এক চিল্লা দেওয়ার চেষ্টা করুন।
ইনশাআল্লাহ সকল সমস্যা মিটে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা সকলকে দ্বীনের প্রতি অটল অবিচল থাকার তওফিক দান করুন।
আমিন।
আরো জানুন