আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
324 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।। স্বপ্নের যতটুক ইয়াদ আছে, আমি একটা ক্লাসে ছিলাম, ওখানে কোনো উস্তাদ/উস্তাযা বলছিলেন কে আরবী হরফের ছোট ফ্রম মানে কোর'আনে যেভাবে হরফ লিখা হয় তা কে লিখতে পারবে, তো আমি ব্লাক বোর্ডে গিয়ে লেখি আবি হরফ বা তা আর ছা। এরপর কেউ আমার প্রশংসা করে, এবং জায়গাটা সোনালী রঙের মসজিদ এর মতো অনেকটা হয়তো মাসজিদে নববীর মতো। এরপর আমি একটা অন্যায় করে ফেলি ওখানে কারো সাথে কথা বলা নিষেধ ছিলো,আমি এক বোনকে বলছিলাম, জানো আজকে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, আবার আনন্দও হচ্ছে, আমি জীবনে ছোটবেলায় রঙ্ধনু দেখেছিলাম আর সেদিন স্বপ্নে দেখি রঙ্ধণু আর আমি জান্নাতে যাচ্ছি, (বাস্তবে আমি এরকম স্বপ্ন কোনোদিন কিন্তু দেখিনি) এরপর আমাকে কোনো একটা অন্যায়ের শাস্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলে আর আমি একজায়গায় সিজদাহতে লুটিয়ে পড়ি সামনে বেশ দূরে ছিলো কাবাঘর হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়, আর আমি সম্ভবত মৃত্যু চাইতে থাকি, বলতে থাকি যে হে আল্লাহ আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, আমি তোমার ঘরের সামনে আছি,আমাকে তুমি নিয়ে নাও, আর আমি খুব কাদঁছিলাম । এটা বাস্তবেও আমি চাই যে রব্বের ঘরের সামনেই যেনো সিজদাহ্ অবস্থায় ঝুম বৃষ্টিতে আজরাইল আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ হয়।এরপর আমাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার জন্য অনেক জন টানাটানি করতে থাকে আর আমি বুঝতে পারি যে আমার মৃত্যু খুব নিকটে  আমি আর কিছু সময় পরই মারা যাবো তাই আমি ওদেরকে অনুরোধ করতে থাকি আমাকে সিজদাহ্তে থাকতে দাও অতপর আমার জিনিস কেউ নিয়ে যায় আর আমি তাতে বাধা দেই না মনে মনে বলতে থাকি মৃত্যুর পর এগুলার আর কিইবা মূল্য, মনে পড়ে আমার গুছানো হাজার জিনিসের কথা আর ভাবতে থাকি কাউকে যদি বলতে পারতাম ওগুলা দান করে দিতে, এরপর আবার দেখি একটা ছোট্ট মেয়ে আরেকটা মেয়েকে অপমান করছে গরীব এতিম বলে আর আমি তাকে বলছি তুমি একে ওসব কেনো বলছো তুমি যদি তার জায়গায় থাকতে তাহলে এমন কখনোই করতে পারতে নাহ,আর আমি তাকে নিয়ে এসে আমার কিছু জিনিস তাকে দিয়ে দেই এরমধ্যে একটা মিসওয়াকের প্যাকেটও ছিলো সম্ভবত(বাস্তবে এইকয়দিন ঘরের কাজ চলায় আমি নিজের মিসওয়াকটা ঠিকমতো করতে পারছিনা)।এরপর আমার ঘুম ভেঙে যায়। গতকালও স্বপ্নে নিজেকে মৃত্যুর হালতে দেখেছি, দেখি আমি নামাজরত  অবস্থায় আত্তাহিয়াতুর যায়গায় এসে আমার হাত ২টা কেমন প্যারালাইজড হয়ে যায়, আস্তে আস্তে আমার পুরো শরীর, আর আমি সিজদাহ্য় ঝুকেঁ যাই ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজীউন পড়ি, এরপর স্বপ্নেই মারা যাই মনে করি এরপর আবার আমার রুহ ফিরে আসে আর আমি হাপাতেঁ থাকি আর আম্মুকে বলতে থাকি তখন আবারও সেইম অবস্থা হয় আর আমার মাথায় তারা পানি ঢালতে থাকে। কিন্তু আমি সজাগ হই না এরপর ঘুম ভেঙে যায়। এসবের কি কোনো মানে আছে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বপ্নে নিজে মৃত বা মৃতের হালতে বা মৃতদের কাতারে দেখার অর্থ হল, ঐ ব্যক্তি নতুন জীবন পাবে।নতুন হায়াত পাবে। অর্থাৎ পূর্বের জীবন বদলে গিয়ে তার নতুন জীবনের সূচনা হবে। আল্লাহ আপনার জীবনকে কল্যাণময় করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...