আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
305 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালমুআলাইকুম।  আমি দীর্ঘ কিছু বছর থেকে মানসিক রোগের ওষধ খাচ্ছি।  এবং হয়ত এই কারণে চট চট করে যে কোনো বিষয় এ রেগে যাচ্ছি , রাগ টাকে সামলানোর চেষ্টা করছি কোনো সময় হচ্ছে আবার কোনো সময় সামলানো হচ্ছে না।  এমন ভাবে চলছে।  ২ দিন আগে আমার স্ত্রীর সঙ্গে একটু মনের অমিল হয় । সেই কারণে  ২ দিন ধরে মনের মধ্যে একটু একটু রাগ ছিল আবার যখন আমার স্ত্রী আমাকে  ফোন করছে তখন আমি খুবই রেগে যাচ্ছি কারণ তার কাছে থেকে আমি কষ্ট পেয়েছি ।  আমি আমার স্ত্রী কে ভীষণ ভালোবাসি সেও আমাকে ভালোবাসে ।
.বিষয় টা হচ্ছে ফোন এ কথা বলতে বলতে রেগে গিয়েছিলাম এবং  তাকে অনেক বার সীমিত থাকতে বলা হচ্ছিল সে যেনো কথা না বলে , কিন্তু সে  কথা বলছিল আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল এমন অবস্থায় আমি তাকে বার বার বোঝাচ্ছি তোমার আমাকে নিয়ে সমস্যা হলে ছাড়পত্র করে নাও, পরিবার এর সঙ্গে কথা বলো, এইসব বলেছিলাম , এবং এটাও বলি বেশি কথা বললে তালাক দিবো, সে আবারও বেশি বলছিল , তারপর চুপ হয়েযায়। আমি তখন নিজেকে সমলে নিয়েছিলাম কিছুটা কিন্তু নিজের মনের রাগ ঠান্ডা করতে ১ তালাক বলে ফেলেছি ।

 ১.আমার স্ত্রীর হায়াজ অবস্থায় বলেছি এক্ষেত্রে কি আমার তালাক হয়ে গিয়েছে?  এই তালাক আমার কি রূপে গণ্য হবে? মানসিক অসুস্থ এর ঔষধ খাওয়া কারণে কি কোনো ছাড় পাওয়া যাবে?
২. এটা কি  প্রথম তালাক হিসেবে গণ্য হবে ? নাকি মানসিক কারণের জন্য হবে না?
৩. আমি কি আমার স্ত্রী কে ফিরিয়ে নিয়ে আগের মত সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে পারব?

৪. আমি বলছি আমার স্ত্রী কে এই ভুল আবার করলে আমি আবার তোমাকে তালাক দিবো । এই টা বলা আমার ঠিক হয়নি।

কিন্তু আমার স্ত্রী যদি আবার একই ভুল করে তাহলে কি আমার না বললে ও তালাক হয়ে যাবে?
৫. যেহেতু আমার স্ত্রী কে একবার বলছি এখন ফিরিয়ে নেওয়ার পর , যদি পরবর্তী তে আবার তালাক বলি তাহলে কি আবারও  প্রথম তালাক নাকি দ্বিতীয় তালাক হিসেবে গণ্য হবে?  আমি আর এই কাজ কখনো করবো না।
আমি মানসিক রোগের ওষধ খাচ্ছি জানিনা এমন তীব্র এবং তাৎক্ষনকভাবে রাগ হয়ে যাচ্ছে  কেনো ওষধ এর পার্শ প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেক্ষেত্রে একটু জানাবেন।

যখন আমি শান্ত হয়ে যায় তখন আমার মনে হয় কিছু হয়নি আমি অনেক বড় ভুল করেছি খুব আফসোস হয় , সেটা আমার যে কোনো বিষয় নিয়ে।

আমাকে বিস্তারিত ভেবে জানাবেন এবং  আমার করণীয় কি বলবেন। আর আমার স্ত্রী হায়েজ অবস্থায় ছিল। উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।

মুফতী সাহেব  কোনো সমস্যা ছাড়া  আমার স্ত্রীকে  ফিরে পেতে চায় । আমাকে সঠিক উত্তর দিয়ে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/50502 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
وعن عائشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: ((رفع القلم عن ثلاث: عن النائم حتى يستيقظ، وعن الصغير حتى يكبر، وعن المجنون حتى يعقل أو يفيق
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক, যতক্ষণ না বালেগ হয়। (সুনানে আবি-দাউদ-৪৩৯৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমার যতদূর মনে হচ্ছে যে, আপনার মানষিক সমস্যা রয়েছে।আপনাকে আমি মানষিক রোগী আখ্যা দিতে পারবো না,বরং এ কাজ ডাক্তারের।আপনি দুইজন মুসলিম মানষিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন, যদি তারা উভয়ই আপনাকে মানষিক রোগে আক্রান্তের কথা বলে, তাহলে আপনার কথা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা আপনি মানষিক রোগী।আর মানষিক রোগী শরীয়তের মুকাল্লাফ নয়, সুতরাং মানষিক রোগীর বিয়ে তালাক কিছুই শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

আপনার মানষিক সমস্যা রয়েছে কি না? এটা মানষিক রোগের কারণে হচ্ছে কি না? তা কোনো ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিবেন।যদি আপনার মানষিক সমস্যা না থাকে, তাহলে আপনার তালাক পতিত হবে।আর মানষিক সমস্যা থাকলে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...