ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
যদি তিলাওয়াত করার সময় কুরআন পড়তে গিয়ে কেহ আটকে আটকে যায় এবং কষ্ট হয়, তার জন্য রয়েছে অনেক বড় ফযীলত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আয়েশা সিদ্দীকা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ، وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقّ، لَهُ أَجْرَانِ.
যারা উত্তমরূপে কুরআন পড়বে তারা থাকবে অনুগত সম্মানিত ফিরিশতাদের সাথে। আর যে কুরআন পড়তে গিয়ে আটকে আটকে যায় এবং কষ্ট হয়, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৯৮)
নবীজীর এ হাদীসটি একদিকে যেভাবে তিলাওয়াতে পারদর্শী ব্যক্তিদের জন্য সুসংবাদ প্রদানকারী তেমনি কুরআন পড়তে যাদের কষ্ট হয়, মুখে আটকে আটকে যায়, তাদের জন্যও এ বাণী আশা সঞ্চারক এবং উৎসাহব্যঞ্জক। এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী দ্বিগুণ সওয়াব। তিলাওয়াতের সওয়াব এবং তিলাওয়াতের জন্য যে কষ্ট হয় সেই কষ্টের সওয়াব।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
তবে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে এভাবে থেমে যাওয়া যাবেনা।
(০২)
আসলেই যদি ১ম বার সঠিকভাবে উচ্চারণ না করা হয়,তাহলে ২য় বার উচ্চারণ করতে সমস্যা নেই।
তবে এমনিতেই সন্দেহের ভিত্তিতে এভাবে ২য় বার উচ্চারণ করা যাবেনা।
(০৩)
চেষ্টা করার পরেও সহীহ ভাবে না আসলে তাতে সমস্যা হবেনা।
(০৪)
ইচ্ছাকৃতভাবে মন এদিক সেদিক নিয়ে গেলে গুনাহ হবে।
তবে নামাজ হয়ে যাবে।
(০৫)
আপনি কোনো শুদ্ধ তিলাওয়াত কারীর স্বরণাপন্ন হোন,এভাবে এতো সময় নামাজে লাগাতে মনে হচ্ছে আপনার ওয়াসওয়াসা কাজ দিচ্ছে।
এতো সময় তো লাগার কথা নয়।
২/৩ মিনিট সময় কম বেশি হতে পারে,তাই বলে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে ১ ঘন্টা লাগবে!
এটাতে সমস্যাই মনে হচ্ছে।
(০৬)
বেশি দীর্ঘ করায় আপনার মনে এখন এমন বিষয় আসছে।
যেই নামাজ ১০/১৫/২০ মিনিটের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা,সেখানে এক ঘন্টা লাগছে।
এই সমস্যার সমাধান হলেই ইনশাআল্লাহ প্রশ্নে উল্লেখিত "বেঁচে গেছি" এমন মনোভাব আসবেনা।
আল্লাহর মুহাব্বত,তার ইবাদতে মজা লাগানোর চেষ্টা ও দোয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
(০৭)
৫ নং প্রশ্নের জবাবে দেওয়া পদ্ধতি অবলম্বন করুন।