আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার দুটি প্রশ্ন।
১/ একজন লোক হারাম উপার্জন যেমন সুদ ঘুষের টাকায় অনেক সম্পত্তি করেছেন। উনি মারা গেছেন। এখন সেই সম্পত্তি কি ওনার স্ত্রী পুত্রের জন্য হালাল হবে কিনা?( উনি ওই টাকায় বিল্ডিং করেছেন যার ভাড়া তার স্ত্রী পুত্র খাচ্ছে।)  এবং তার স্ত্রী যদি সেই টাকা গুলো থেকে কাউকে নামাজের হিজাব উপহার দেয় সেটা পরে নামাজ পড়লে নামাজ হবে কিনা?  এবং ওই বাসায় বেড়াতে গেলে যে খাবার দিবে তা কি হালাল হবে কিনা?  যেহেতু নিকট আত্নীয় তাহলে ওনার দেওয়া জিনিস গ্রহণ করবো কিনা?
২/ আমার খালা আর মায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি  হচ্ছিলো এবং আমার খালা আমার নামে অভিশাপ দিয়ে একটা কথা বলেছিলো যার কারনে আমার মা খুব আঘাত পায় এবং ওনারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রায় 9 মাস হতে চললো। এর মধ্যে রোজার ঈদের সময় আমি ওনাকে কল করেছিলাম শুধু আমার সাথে কথা হয়েছিলো। আর মায়ের সাথে যখন ওনার কথা হতো তখন কথার চেয়েও গীবত বেশি। একারনেও মা তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেন না।। আম্মু যোগাযোগ না করলে উনিও করছেন না। এখন কি আমার বা আমার মায়ের কি গুনাহ হবে? যেহেতু উনি আমার খালা?

1 Answer

0 votes
by (548,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জানতে হবে যে যেই বিল্ডিংয়ের ভাড়ার টাকা দিয়ে আপনাকে গিফট দিয়েছে,দাওয়াত দিচ্ছে,সেই বিল্ডিং নির্মাণে হারাম টাকাই পুরাটা ছিলো? 
নাকি হালাল হারাম মিশ্রিত ছিলো?
মিশ্রিত হলে হারাম টাকার পরিমান বেশি ছিলো না কি হালাল টাকার পরিমান বেশি?

যদি বিল্ডিং নির্মাণে পুরো টাকাই বা অধিকাংশ টাকাই হারাম হয়,তাহলে এই গিফট নেয়া যাবেনা।
তার বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবেনা।

দাওয়াত খেলে বা গিফট নিলে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " .

যুবায়ের ইব্ন মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ আত্নীয় সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না। (আবু দাউদ ১৬৯৬.বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثٍ فَمِنْ هَجَرَ فَوْقَ ثَلَاثٍ فَمَاتَ دَخَلَ النَّارَ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তিনদিনের বেশি সময় অপর কোন মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে সাক্ষাৎ পরিত্যাগ করে। যে ব্যক্তি তিনদিনের বেশি সময় অপর ভাইকে ত্যাগ করল, আর এ সময় তার মৃত্যু হলো, তবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
(সহীহ : আহমাদ ৯০৯২, আবূ দাঊদ ৪৯১৪, সহীহুল জামি‘ ৭৬৫৯, সহীহ আত্ তারগীব ২৭৫৭, ইরওয়া ৭/৯৪, সুনানুন্ নাসায়ী আল কুবরা ৯১৬১, হিলইয়াতুল আওলিয়া ৮/১২৬।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মা,খালার গুনাহ হবে।
আপনি যদি যোগাযোগ চালিয়ে না যান,মাঝে মধ্যে ফোনে হলেও কথা বার্তা না বলেন,তাহলে আপনারও গুনাহ হবে।

আপনাদের জন্য পরামর্শ থাকবে,আপাতত সালাম বিনিময়ের জন্য হলেও মাঝে মাঝে কল দেয়ার।
বা সালাম দেয়ার জন্য মাঝে মাঝে দেখা সাক্ষাৎ  করার।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...