আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (22 points)
(প্রশ্নটি এক বোনের)
আমি বিবাহিত, বিয়ের আগে আমি আমার শহর থেকে দূরে অন্য একটা শহরে কাজ করতাম।আমার বাসার আমার শহরের এক ভাই থাকতো যদিও এককে অপরকে চিনতাম না,কিন্তু এক শহরে হওয়াতে কথা হত, এই এই বিষয় টা ওখানকার কিছু খারাপ লোকে চোখে পরে এবং এই বিষয় নিয়ে অনেক ঝামেলা শুরু করে এক পর্যায় তারা আমাদের বিয়ে করতে বাদ্ধো করে।ঝামেলা না শেষ করা পযন্ত আমাদের এক সাথে থাকতে হয়। কিছু দিন পরে ঝামেলা শেষ হলে যার যার মত বাসাই চলে যায় বলে খারা উচিৎ আমাদের সাথে যে ঝামেলা হয়েছিলো এই বিষয় আমি আর সে ছাড়া কেউ জানে না, তার পরে বাসায় আসার পরে আমাদের কেউ কারো সাথে যোগাযোগ নেই।কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করি ও নি।সুনেছি সে তার বাসার পছন্দ মত বিয়ে করেছে কিছু দিন গেলে আমিও বাসার পছন্দ মত বিয়ে করে নেই।আমার বিয়ে আগে তার সাথে আমার একবার কথা হয়। আমি আমার বিয়ের কথা তাকে জানাই তার কোনো আপত্তি ছিলো না কারণ সে আমাকে কখনো বিয়ে করতে ও চাইনক স্ত্রী হিসাবে মানেও নি,তার পরে আর কখনো কথা হয়নি.......কিন্তু আমারা কেউ কাওকে তালাক দেইনি।

আমার প্রশ্ন হয়ে, আমি যত দূর যান্তে পারছি মেয়ে দের দিক থেকে মেয়েদের যদি প্রথমে বিয়ে হয় সে স্বামী কে ডিভোর্স না দিয়ে পরে যদি বিয়ে করে সে বিয়ে নাকি অবৈধ্য হয়।

তার সাথে তো আমার কোনো যোগাযোগ লেনদেন কিছু নেই। তাহলে কি আমার দ্বিতীয় বিয়ে কি অবৈধ্য হবে। এখন কি তাকে আমার তালাক দিতে হবে। আর আমার স্বামীর সাথে কি আমাকে আবার বিয়ে করতে হবে।?? এই বিষয় নিয়ে আমি অনেক চিন্তিত এখন আমার কি করা উচিত??

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি দুইজন সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হয়ে থাকে, তাহলে বিয়ে হয়ে গেছে, এখন ঐ স্বামী কর্তৃক তালাক হতে হবে।আর স্ত্রীর তথা আপনার তালাকের অধিকার থাকলে আপনি প্রথমে নিজের উপর তালাক গ্রহণ করবেন।তারপর ইদ্দত তথা ৩ হায়েয অতিক্রান্ত করার পর আপনি দ্বিতীয় স্বামীর সাথে পূনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।

প্রথম স্বামীর সাথে তালাক ব্যতিত আপনার দ্বিতীয় বিবাহ কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই যেকোনো ভাবে প্রথম স্বামীর নিকট থেকে তালাক গ্রহণ করতেই হবে।কেননা একজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকাবস্থায় অন্যর সাথে বিয়ে কখনো অনুমোদিত হতে পারে না। তাই প্রয়োজনে কোর্টের মাধ্যমেও তার কাছ থেকে তালাক গ্রহণ করে নিতে হবে।অথবা আপনার কাছে তালাকের অধিকার থাকলে, আপনি নিজের উপর তালাক নিয়ে নিবেন।

দ্বিতীয় স্বামীর কাছে বিষয়টির উল্লেখের প্রয়োজন নাই।আপনি ঐ ব্যক্তির খোজ করুন।তাকে পাওয়ার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করুন।তার কাছে তালাকের আবেদন করুন।তাকে বিষয়টি বুঝান। যদি শতচেষ্টার পরও তাকে খুজে পাওয়া না যায়, তাহলে তাকে মৃত ভেবে ইদ্দত চারমাস ১০ পালন করে আবার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে নতুনভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। এ বিষয়ে আপনি আমার সাথে ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...