আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু, উস্তাদ, রিপ্লাই পেলে উত্তম হয়, কারণ রিয়ার ভয় হচ্ছে একটু দ্রুত যদি উত্তরটা দিতেন।
 আমি এর আগে হিফজ শুরু করে মাঝখানে থেমে যাই জ্বীনের অতিরিক্ত সমস্যার কারণে তো এখন আলহামদুলিল্লাহ হাল্কা পাতলা সমস্যা হয় তাই মাদ্রাসায় ভর্তির চেষ্টা করি কিন্তু তারা আমাকে নেয়নি, এইজন্য  আবার বাসায়ই হিফজের জন্য ২য় বার আবার শুরু করি আর একটা রুটিন সাজাই৷ তো সেই অনুযায়ী প্রথম দিনই অর্থাৎ,  গতকাল আম্মুকে আমি বলি যদি এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাই তবে তো আলহামদুলিল্লাহ আর যদি এখনো কোনো জ্বীনের সমস্যা থাকে তাহলে তাও বুঝবো ইনশাআল্লাহ। কারণ এই কোর'আন মুখস্থ করতে গিয়েই আমার এই সমস্যাটা প্রকাশ হয় আর আমি বিশ্বাস করি কোর'আনই এর সমাধান
এরপর ফজরের পর ৭:টায়(আমি দোয়া পড়েই ঘুমিয়েছিলাম ডান কাতে) স্বপ্নে দেখি আমি আমাদের খুলনায় ফ্লাটের (ছাদের) শুরুর সিড়িটা দিয়ে নিচের দিকে দৌড়াচ্ছিলাম আর পিছন থেকে কেউ ধাওয়া করছিলো আমি অনেক জোরে আল্লহু আকবার আল্লহু আকবার বলছিলাম স্বপ্নে, আর তাই তার নাগাল থেকে ছুটে যেতে পারতেছিলাম, ব্যপারটা এমন ছিলো যদি সে আমাকে ধরতে পারে তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে, আর আমি দৌড়ে বাচতেঁ পারলে তো বাচঁলামই, আর চতুর্দিকে সবাই ২জন করে দাঁড়ায় আছে,একজন কামড়ে ধরে আছে আরেকজনকে৷ সবাই কালো বোরকায় আবৃত, নজর আমার দিকেই,আমাকে যে ধাওয়া করছিলো সে সাদা ওড়না দিয়ে মাথা পেচানোঁ আর সারা গায়ে কালো বোরকা।একপর্যায়ে সে আমাকে ধরে ফেলে কিন্তু আমার স্বপ্নেই মনে হতে থাকে খারাপ জ্বীন/শয়তানকে ধরতে পারলে মেরে ফেলা উচিত,ছাড়া উচিত না,রুকাইয়ার বইতে পড়েছিলাম।তো আমি তার সাথে কুস্তি করে তাকে মাটিতে ফেলে দেই গলা টিপে ধরি আর চিৎকার করে বলতে থাকি, ইয়া আল্লাহ এ আমাকে অনেক জ্বালাইছে আজকে তুমি তাকে মেরে ফেলো, আল্লহু আকবার, আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজীম ।আমার মনে হতে থাকে ওইটা একটা শয়তানই। এতোটুকু পর সম্ভবত সে আমাকে ছিটকে ফেলে দৌড় দেয় অথবা আমি সরে আসি আর আতকে উঠে ঘুম ভেঙে যায় ৭:৫০ এ।এরপর আবার ঘুমাইলে দেখি আমি নামাজরত  অবস্থায় আত্তাহিয়াতুর যায়গায় এসে আমার হাত ২টা কেমন প্যারালাইজড হয়ে যায়, আস্তে আস্তে আমার পুরো শরীর, আর আমি সিজদাহ্য় ঝুকেঁ যাই ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজীউন পড়ি, এরপর স্বপ্নেই মারা যাই মনে করি/জ্ঞান হারাই এরপর আবার আমার রুহ ফিরে আসে আর আমি হাপাতেঁ থাকি আর আম্মুকে বলতে থাকি তখন আবারও সেইম অবস্থা হয় আর আমার মাথায় তারা পানি ঢালতে থাকে।এরপর ঘুম ভেঙে যায়। এসবের কি কোনো মানে আছে?

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো রিয়া হবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় স্বপ্নের বিবরণ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে জীনের সমস্যা আছে।
আপনি এগুলো থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টারত রয়েছেন।

আপনাকে পরামর্শ দিবো,ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ও প্রত্যেক ঘুমানোর আগ দিয়ে তিন কুল তিন বার করে পড়ে হাতে ফুক দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে দেয়া।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

نْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اشْتَكَى يَقْرَأُ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ وَيَنْفُثُ فَلَمَّا اشْتَدَّ وَجَعُهُ كُنْتُ أَقْرَأُ عَلَيْهِ وَأَمْسَحُ بِيَدِهِ رَجَاءَ بَرَكَتِهَا

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, যখনই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হতেন তখনই তিনি ‘সূরায়ে মু‘আব্বিযাত’ পড়ে নিজের উপর ফুঁক দিতেন। যখন তাঁর রোগ কঠিন হয়ে গেল, তখন বারাকাত অর্জনের জন্য আমি এই সূরাহ পাঠ করে তাঁর হাত দিয়ে শরীর মাসহ (মাসেহ) করিয়ে দিতাম। [বুখারী শরীফ ৫০১৬.৪৪৩৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...