আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
১. কোনো যদি একদিনের সফর বা বাসা থেকে ভার্সিটির হলে যেতে সফরের দূরত্ব এ যায়,সাথে যদি কোন মাহরাম কেউ না থাকে তবে কি সেই মেয়ে সফরের নিয়তে বাসা থেকে বের হতে পারবে এবং রাস্তায় কি স্বলাত কসর করতে পারবে??? নাকি সে সফরের নিয়তই করতে পারবে না সাথে মাহরাম না থাকায়??
২.কোন কোন সময় কুরআন -সুন্নাহর কোন ঘটনা শুনলে ঠিক অবিশ্বাসজনক না তবে কেমন টাইপ কথা যেন মনে উদয় হয় যেটাকে মনে হয় শানে বেয়াদবি,যেমনঃ আল্লাহর রসূল(সা) যখন নিজেকে নবী বলে জানালেন,মুশরিকদের জন্য মানা কষ্টকর ছিল,আমি হলে মানতাম কিনা হয়ত অবিশ্বাস করতাম,বা কোন ঘটনা শুনলাম, মনে হলো সত্যি এমন হইছে,তখন মনে হয় আল্লাহ,আল্লাহর রাসূলকে  কি অবিশ্বাস করছি!! পরে না অবিশ্বাস করি না,তবুও মনে খচখচানি থেকে যায় কেন এমন মনে হয়।আরো মনে হয় আল্লাহ যে চিনতে পারিনি,বিশ্বাস্টা আরো মজবুত হওয়া উচিত ,,,এসবের কারণে  কি ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে????

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
যেকোনো ব্যাক্তি সফরের দূরত্বে যদি কোনো এক এলাকায় পনের দিন থাকার নিয়ত না করে,বরং তার চেয়ে কম থাকার নিয়ত করে, তাহলে ব্যক্তি মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। 

সেক্ষেত্রে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ কসর করতে হবে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,

وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ

‘আর যখন তোমরা যমীনে সফর করবে, তখন তোমাদের নামাজ কসর করাতে কোনো দোষ নেই।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১০১]

হাদিস শরীফে এসেছে,

عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি  উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)

আরো জানুনঃ 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মেয়ে নিজ এলাকার সীমানা অতিক্রম করার পর সে কসরের নামাজ পড়বে।

প্রশ্নে উল্লেখিত মেয়ে সফরের নিয়ত করতে পারবে।
তার জন্য কসরের নামাজ পড়া আবশ্যক। 

তবে তার জন্য এভাবে মাহরাম পুরুষ ছাড়া বের হওয়াতে গুনাহ হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا يَكُونُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا "

আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ ও আখিরাতের উপর যে সকল মহিলা ঈমান রাখে, তার সাথে তার পিতা অথবা তার ভাই অথবা তার স্বামী অথবা তার ছেলে অথবা তার কোন মাহরাম আত্মীয় না থাকলে সে সকল মহিলার জন্য তিন দিন বা তার বেশি সময় (একাকী) সফর করা বৈধ নয়।

ইবনু মাজাহ (২৮৯৮) তিরমিজি ১১৫৯

(০২)
এসবের কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবেনা।
তবে এসব বিষয় মাথায় আসতেই দেয়া যাবেনা।
,
বিষয়টি কোনো সময় বড় সমস্যার আকার ধারন করতে পারে,তাই এগুলো বিষয় মাথায় আসলেই বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
এগুলো সবই শয়তানি ওয়াসওয়াসা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তায, নিয়ত ছিল সফরের  নিয়তে বের হবো পরে বের হওয়ার সময় আর নিয়ত করা হয় নি 
তাহলে ঐ নিয়ত কি যথেষ্ট হবে?? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...