আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
শ্রদ্ধেয় আল্লাহর বন্ধু,আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ-

কেউ যদি এমন পরিবেশে কিংবা অঞ্চলে বসবাস করেন যেখানে সবাই শিরকে লিপ্ত এবং সবাই বিষয়টাকে শিরক বলে মনেও করেন না কিংবা জানেনও না। এর মধ্যে নতুন প্রজন্মগণও একি কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টাকে উনারা ইসলামের একটি কার্যকলাপ মনে করে ভক্তির সাথে করে থাকেন এবং ছোট ছোট বাচ্চা গুলো শিরকের কার্যকলাপ গুলোকে নিজেদের ধর্মের অংশ মনে করে বড় হতে,হতে এক পর্যায়ে তারা বড় শিরকে কিংবা চরম পর্যায়ের শিরকে লিপ্ত হয়ে পড়েন। স্যেকুলারিজমের মতো করে বাড়তে থাকে তাদের মনোভাব।
এখন যদি কেউ এমন অবস্থায় ছোট থেকে কখনো নামাজ,রোজা পালন না করে থাকেন,২৫-৩০ বছর বয়সে গিয়ে সত্যিকার অর্থে ইসলামের শিরকের বিষয় গুলো জানতে পারেন এবং নতুন করে তাওবা করে নামাজ পড়া শুরু করেন,একটা পর্যায়ে গিয়ে আবার নানা প্রতিকূলে পড়ে নামাজ,রোজা পড়া ছেড়ে দেন। আবার আল্লাহর অশেষ রহমতে নামাজ,রোজা পড়া শুরু করতে চান,তবে কী উনার ছোট থেকে না পড়া আগের সকল নামাজ কাযা পড়তে হবে,যদি পড়তেই হয় তবে এর মাঝে তো মতভেদ রয়েছে যার দরুন জানা গেলো কেউ বললেন কাযা করা উচিত কেউ বললেন উমরি কাযা বলে কোন নামাজ আদৌ পবিত্র কোরআন শরীফে এবং হাদীস মতে নেই। অন্য দিকে কিছু আলেম এটাকে বিদ'আত বা কবিরা গুনাহ্ বলেছেন এবং উনারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিগত না পড়া নামাজ গুলোর ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে নফল নামাজ পড়তে বলেছেন।
কেননা হাদীস মতে,হিসাবের সময় ফরজ নামাজের সংকট দেখা দিলে তখন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বান্দার নফল নামাজ দিয়ে তা পূরণ করবেন। (আল্লহু আলিম)

আমার মূল প্রশ্নের বিষয় হলো এখন উনার কী করা উচিত, যদি নামাজ পড়েন তা বিদ'আত হয়, আবার যদি নামাজ না পড়েন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার নিকট অপরাধী হয়,আবার অন্য দিকে ছোট বেলা থেকে সরাসরি শিরকে লিপ্ত ছিলেন তাই কী তিনি মুসলিম বলে গণ্য হতো তখন? এরপর আবার নামাজ পড়ার পর তিনি শিরকের বিষয়টা জানলেও পরে প্রতিকূলতার দরুন,আবার নামাজ পড়া বন্ধ করে দেন,এখন কী তিনি নতুন করে তাওবা করার পর আবার যা নামাজ পড়েননি শুধু ওগুলো কাযা করবেন নাকি ছোট বেলা থেকে না পড়া নামাজ গুলো সহ উনার কাযা পড়তে হবে?
কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে তখন ভীতিকর যখন কিছু আলেম ওটাকে বিদ'আত, নিষিদ্ধ,কবিরা গুনাহ্ বলে সম্মোধন করেছেন।
এখন এই পরিস্থিতিতে উনার কী করা উচিত? শ্রদ্ধেয় আল্লাহর বন্ধু, অনুগ্রহ করে যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন খুব উপকৃত হবো أن شاء الله।
আল্লাহ্ আপনার জন্য যথেষ্ট হোক আপনার পথ সহজ করুক।أمين ثم أمين
جزاك الله خيرا

1 Answer

0 votes
by (574,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/4560/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। তথা অজ্ঞতা বশত কেউ কোনো গোনাহর কাজ করে ফেললে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।

ভূলে শিরকে পতিত হওয়ার পর বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দিয়েছিলেন,

হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " كَانَ رَجُلٌ يُسْرِفُ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ المَوْتُ قَالَ لِبَنِيهِ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي، ثُمَّ اطْحَنُونِي، ثُمَّ ذَرُّونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَيَّ رَبِّي لَيُعَذِّبَنِّي عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ أَحَدًا، فَلَمَّا مَاتَ فُعِلَ بِهِ ذَلِكَ، فَأَمَرَ اللَّهُ الأَرْضَ فَقَالَ: اجْمَعِي مَا فِيكِ مِنْهُ، فَفَعَلَتْ، فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: يَا رَبِّ خَشْيَتُكَ، فَغَفَرَ لَهُ " وَقَالَ غَيْرُهُ: «مَخَافَتُكَ يَا رَبِّ»
তিনি বলেন, পূর্বযুগে এক লোক তার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছিল। যখন তার মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এলো, সে তার পুত্রদেরকে বলল, মৃত্যুর পর আমার দেহ হাড় গোশতসহ পুড়িয়ে ছাই করে নিও এবং প্রবল বাতাসে উড়িয়ে দিও। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ্ আমাকে ধরে ফেলেন, তবে তিনি আমাকে এমন কঠিনতম শাস্তি দিবেন যা অন্য কাউকেও দেননি। যখন তার মওত হল, তার সঙ্গে সে ভাবেই করা হল। অতঃপর আল্লাহ্ যমীনকে আদেশ করলেন, তোমার মাঝে ঐ ব্যক্তির যা আছে জমা করে দাও। যমীন তা করে দিল। এ ব্যক্তি তখনই দাঁড়িয়ে গেল। আল্লাহ্ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিসে তোমাকে এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করল? সে বলল, হে, প্রতিপালক তোমার ভয়। অতঃপর তাকে ক্ষমা করা হলো। অন্য রাবী مَخَافَتُكَ  স্থলে خَشْيَتُكَ  বলেছেন।(সহীহ বুখারী-৩৪৮১)
(৭৫০৬, মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩২)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত ব্যাক্তি যেহেতু না জানার ভিত্তিতে শিরকি কাজ করেছে,সুতরাং সে কাফের হয়ে যাবেনা।
মুসলিমই থাকবে।

চার মাযহাব সহ বিশ্বের অধিকাংশ উলামায়ে কেরামগন একমত যে উমরি কাজা হিসেবে জীবনের সব নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

উমরি কাজা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির উমরি কাজা আদায় করতে হবে।
এটি তার উপরে আবশ্যক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 131 views
...