আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
১।মেয়েরা কি হিজাব পড়ে  বিনোদনের জন্য পার্ক বা এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জায়গা, রেস্টুরেন্টে বা খাবারের জন্য বাইরে যেতে পারবে?
২।ক) বাজার থেকে কিছু মেয়েদের  পেন্ট কিনা হয়েছে। এরমধ্যে ২টি জিন্স কাপড়ের তৈরি, কিন্তু ডিজাইন সম্পুর্ন মেয়েদের পালাজো পায়জামার মতো।এর মধ্যে একটার নিচের দিকে হালকা ডিজাইন আছে, যা আমি বিদেশি কিছু অভিনেত্রীর পড়নে দেখেছি( এ ডিজাইন তাদের ধর্মিয় কোন কিছুর সাথে সম্পর্কিত নয় বলেই আমি জানি),মেয়েদের জন্য কি এই পেন্ট পড়া জায়েজ হবে?
খ) আমি বাজার থেকে মেয়েদের কিছু শিতের জন্য জিন্স ও গাবার্ডিন কাপড়ের ( কাপড় গুলো ভারী)তৈরি  পেন্ট কিনেছিলাম। এখন আমার মনে হচ্ছে এগুলো পুরুষদের সাথে সাদৃশ্য রাখে।এখন,সাধারনত  অনেক মেয়েরাই  এরকম পেন্ট পড়ে, যা  তাদের পড়নে দেখে কখোনাই তা পুরুষদের কাপড়  মনে হয় নি, তাই কেনার সময় আমি আলাদা করে এভাবে ভাবিনি।এখন ,আমি  এগুলো  লম্বা কামিজ বা ফ্রক বা কুর্তির সাথে পড়লে  ( তেমনভাবে বুঝা যায় না এগুলো পুরুষদের সাথে সাদৃশ্য)  কি আমি পুরুষদের সাথে সাদৃশ্য করলাম? এ কাপড় গুলো কে এখন আমার কি করা উচিত?

গ) আমি নতুন কিছু চুলের বেন্ড কিনেছি,কেনার পর মনে পড়ল যে এরকম আমি এক বিদেশি অভিনেত্রীর পড়নে দেখেছি( এটা তাদের ধর্মীয় কোন কিছুর সাথে সাদৃশ্য পুর্ন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি),এগুলো পড়া কি নাজায়েজ হবে?

৩।আমার এক পরিচিত,তিনি কলেজের শিক্ষক ছিলেন,কলেজটা ছিল একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত। তার এক সহকর্মির পিতা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাশিল পদে( ভিসি)। তো ভিসি সাহেব সবাইকে পদোন্নতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানাবেন মর্মে ঘোষণা দিলেন( হয়তো বা তার নিজের ছেলের জন্যই এমনটা করে ছিলেন)  শর্ত দিলেন নতুন ইনস্টিটিউট বানিয়ে  শেখানে তাদের শিক্ষক করা হবে, কিন্তু তাদেরকে কলেজে ও ইনস্টিটিউট উভয় জায়গায় সমানভাবে ক্লাস নিতে হবে।উল্লেখ্য,আমার আত্নীয় তার কলেজের শিক্ষকতায়ই খুশি ছিলেন,এমন কোন পদোন্নতি পাওয়ার জন্য তিনি কারো দারোস্থ হন নি।তো শর্তমতে  কলেজের সকল শিক্ষক তাদের ক্লাস চালিয়ে যান কিন্তু বেতন দেয়া হয় একটা( বিশ্ববিদ্যালয় স্কেলে)।তারা কয়েক বছর পরিশ্রম করে শিক্ষকতা করেন ও ঐ ইন্সটিটিউটেরর ১ম ব্যাচ বের হওয়ার ও  প্রায় সময় চলে আসে।এসময় ক্ষমতা চলে যায় নতুন ভিসির হাতে, তিনি এসেই কয়েক মাসের মধ্যে ঘোষণা দেন যে এই শিক্ষকদের পদোন্নতি অবৈধ, তাদের এযোগ্যতা নেই( উল্লেখ কলেজের শিক্ষক হলেও তাদের প্রায় সবারই রেজাল্ট ভালো। আমার আত্নীয়ের ও এবং তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার মতো রেজাল্ট তার ছিল)।এবং শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়  এবং তাদের কলেজে ফিরে যেতে বলা হয়,পাশাপাশি বলা হয়  তাদের এত বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কেলের  বেতন হতে  কলেজের বেতন বাদে অতিরিক্ত টাকা কেটে নেয়া হবে।এতে শিক্ষকেরা নিরুপায় হয়ে কোর্টে মামলা করেন,সাথে সাথে কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়,কিন্তু এই স্থগিতাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ কোন পাত্তাই দেয় না,বরং এই আদেশ কে ভুয়া প্রমান করার চেষ্টা করে।বাধ্য হওয়ে শিক্ষকরা কোর্টে তাদের জমানো টাকা দিয়ে মামলা চালিয়ে যান,কিন্তু মামলার কোন অগ্রগতি হয় না। প্রায় শুনানির  সময় জাজ সাহেব  এ মামলা পড়ে শুনবেন বা মামলা শুনলেও কোন রায়ের ডেট না দিয়ে ফেলে রাখেন,এমনটা করেন।এমনকি একজন  জাজ মামলা শুনে বলেছিলেন ও যে মামলাকারী শিক্ষকদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে, কিন্তু তিনি কোন রায় না দিয়ে তা ফেলে রাখেন এমনটা চলতে থাকে প্রায় ১ - ২ বছর।(ধারনা করা হয় নতুন ভিসি, যিনি প্রভাবশালী তিনি এমনটা করার জন্য ইন্ধন যোগাচ্ছেন)  এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে তারা ঘুষ দিয়ে কোর্ট মেনেজ করেন, এরও আরও ১ বছর পর, কোর্টের তাদের মামলা ভালভাবে উঠে ও তাদের পক্ষে রায় আসে।এসময় ভিসিও পরিবর্তন হযে যায় ও নতুন ভিসি আসেন,এই শিক্ষকদের প্রতি সহমর্মি ছিলেন, তাই আর পাল্টা মামলা করেন না এবং তাদের কে তাদের পদমর্যাদা ফিরিয়ে দেন এবং এতদিনের বেতন তাদের একসাথে দেন, যা বেশ বড় অঙ্কের,এই টাকা কি হালাল হবে?

৪।নামাযের মধ্যে মাঝেমধ্যেই আমার  অনুভব হয় আমি পাদ মেরেচি কিন্তু কোন গন্ধ বা আওয়াজ পাি না।তাই আমি নামায চালিয়ে যাই,আমার নামাজ কি হবে?

৫।বেশ কয়েকদিন ধরে আমার মনে সবকিছু নিয়েই প্রশ্ন আসে যে ওগুলো হারাম কি-না,অবস্থা এমন যে লেবু খেতে গেলে মনে হত লেবু কি হালাল?  কফি চা কি হালাল?  এরকমভাবে যখন আমার মাথায় বিভিন্ন প্রশ্ন আসে আমি মানসিকভাবে অশান্তিতে পড়ে যাই যতক্ষণ না এর উত্তর কোথা থেকে পাই,অনেক সময় উত্তর পেলেও অারও সন্দেহ বেড়ে যায়,আরও প্রশ্ন আসতে থাকে।বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়  একারনে আমি অনেক মানসিক যন্ত্রনায় ছিলাম,পড়া বাদ দিয়ে অনেক সময় মোবাইলে  ব্যয় করে গুগলে সার্চ করে বা অন্যভাবে জানার চেষ্টা করতাম,এতে যে লাভ হত তা না প্রতিদিন কোন কোন বিষয় নিয়ে মানসিকভাবে অশান্তিতে থাকতাম।যদি কোন নতুন বিষয়ে জানতাম তা নিয়ে মানসিকভাবে অশান্তিতে ও আতঙ্কে থাকতাম যে কিভাবে পালন করবো। কয়েকদিন পর আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু, আমার মনে হয় এমন আতঙ্ক নিয়ে আমি হয়তো পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবো না।প্রশ্ন যতবার মাথায় আসে আমি ততবার নিজেকে বলি যে আল্লাহ ক্ষমাশীল, তিনি মহান।কিন্তু পরক্ষণেই আমার মাথায় আসে জ্ঞান অর্জন ফরয ও আমি আবার অশান্তিতে পড়ে যাই,আমি স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি,নিজের উপর কোন ভরসা পাই না।আমি যদি আল্লাহর কাছে দোয়া করি যে আল্লাহ যেন আমার মাথায় প্রশ্ন আসা বন্ধ করে দেন, আমার কি গুনাহ হবে? আর প্রশ্ন আসলেও যদি আমি তা এরিয়ে গিয়ে অন্য কাজ করি তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?

৬। কোন মেয়ে যদি পরিবার বা বান্ধবীদের সাথে কোথাও যায়, সাথে ননমাহরাম( মায়ের চাচাতো ভাই,খালু,বান্ধবীর কেউ) কেউ থাকলে কি তার গুনাহ হবে?

৭।আমার মায়ের চাচা কি  আমার মাহরাম?

৮।পবিত্র কুরআনে এমন কোন আয়াত আছে কি যেখানে আল্লাহ তায়ালা মানুষের একদলকে কুকুরের সাথে তুলনা করেছেন? থাকলে ঐ আয়াতের ব্যাখ্যা কি?

৯।আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যারা ১,২ নং হয় তাদের থেকে ভর্তি ফি কম নেয়া হয় ও এ টাকা পরবর্তীতে তাদের ফেরতও দিয়ে দেয়া হয়।এটা কি জুয়া হল? এরজন্য কি আমার এখানে পড়া নাজায়েজ হয়ে যাবে?
১০।গরুর ভর কি খাওয়া জায়েজ?
১১। বিদেশি খাবার, ফারমেনটেড খাবার কি জায়েয?

১২।পেট্রলিয়াম জাতীয় জিনিস কি নাপাক?

১৩।আমার চামড়ায় রোদে গেলে চালাপোড়া হয় তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করি।সেখানে ২ ধরনের অ্যালকোহল আছে, ওগুলোর ১ টা আঙ্গুর থেকে তৈরি করা যায়, কিন্তু এটা থেকেই তৈরি হয়েছে এমনটাও আমি জানি না।আমি কি ব্যবহার করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا

‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেহেতু মহিলাদের জন্য মসজিদে যাওয়ারই অনুমোদন নেই,সুতরাং বিনা প্রয়োজনে প্রশ্নে উল্লেখিত স্থান গুলোতে যাওয়ারও অনুমোদন নেই।

(০২)
ক,খ,
পুরুষদের সাদৃশ্য হওয়ায় শরীয়ত এগুলো পোশাক মহিলাদের জন্য পরিধান করা জায়েজ নেই।

গ,
নাজায়েজ হবেনা।
জায়েজ আছে।

(০৩)
এতোদিনের বেতন দিলে সেটা নিতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৪)
আপনি নিশ্চিত না হলে,আওয়াজ ও গন্ধ না পেলে এতে নামাজ ও অযু ভেঙ্গে যাবেনা।

(০৫)
এতে আপনার গুনাহ হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ এতে গুনাহ হবে।

(০৭)
হ্যাঁ মাহরাম।

(০৮)

(০৯)
এটা জুয়া নয়।
এখানে পড়া জায়েজ আছে। 

(১০)
হ্যাঁ জায়েজ।

(১১)
এতে কোনো গোশত না থাকলে তা খেতে পারেন,সমস্যা নেই।

(১২)
নাপাকির সংমিশ্রণ থাকলে নাপাক হবে।
নতুবা ঢালাও ভাবে নাপাক বলা যায়না।

(১৩)
উপাদান হতে আপনি নিশ্চিত হলে এটির ব্যবহার জায়েজ হবেনা।

আঙ্গুর উপাদান হিসেবে থাকা সম্পর্কে সন্দেহ হলে এই বিষয় যারা বিশেষজ্ঞ,তাদের থেকে জেনে নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম 
কিছু বিষয়ে এখনো দিধায় আছি,তাই আবার প্রশ্ন করলাম।
খ) এগুলো দেখতে সম্পুর্ন মেয়েদের প্লাজু পায়জামার মতো,শুধু কাপড়ের ধরনটা জিন্সের। এক্ষেত্রে ও কি তা পড়া যাবে না? যদি পড়া না যায় এগুলোকে কি করতে পারি,কারন এগুলো তো কোন ছেলেও পড়তে পারবে না, যেহেতু মেয়েদের পায়জামার মতো দেখতে?
গ) বাজারে তো এগুলো মেয়েদের পেন্ট হিসেবেই বিক্রি করা হয়, এখন এগুলো পড়ে শেষ করার জন্য কি পড়া যাবে?
৬। পরিবার নিয়ে  কোথাও গেলে সাথে তো ড্রাইভারও ননমাহরাম থাকে,পরিবারের ননমাহরাম সদস্যরাও থাকেন।সেক্ষেত্রেও,মেয়েটির গুনাহ হবে?
৮।এ প্রশ্নের উত্তর দিন প্লিজ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...