জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামী যদি বলে,তালাক/তালাক দিলাম/তালাক দিয়েছি।
তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
স্ত্রী যদি নাও শুনে,তবুও শুধু স্বামীর মুখ দিয়ে বলার দ্বারাই তালাক হয়ে যাবে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত গুলোতে স্বামীর কথাই গ্রহনযোগ্য বলে ধরা হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ২য় ছুরতে উল্লেখ রয়েছেঃ
""এর কিছুদিন পর সরাসরি তালাক দেন স্বামী তা বলেছেন দিয়েছি বলেছি দিলাম বলিনি""
এখানে স্বামীর উক্ত স্বীকারোক্তির দরুন নিশ্চিত এক তালাক পতিত হবে।
এখন ১ম ছুরত ও ৩য় নং ছুরতে তালাক পতিত হবে কিনা,এক্ষেত্রে স্ত্রী সন্দিহান থাকায় এখন সেটির জন্য স্বামীর কথা গ্রহনযোগ্য হবে।
স্বামী যদি বলে যে উপরোক্ত ছুরত গুলোতে স্ত্রীকে তালাক//তালাক দিলাম/তালাক দিয়েছি।
এগুলোর কোনো একটি বলে,তাহলে প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে।
আর যদি তালাক দিচ্ছি/তালাক দিবো,এই জাতীয় ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করে কোনো বাক্য বলে তাহলে তালাক হবেনা।
শুধুমাত্র ২ নং প্রশ্নের ভিত্তিতে এক তালাক হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস ও তার ব্যাখ্যাঃ-
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
তালাকের প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাক্ষী রাখা উত্তম। যেন পরবর্তীতে কোনো সমস্যা না হয়।
তবে কখনো যদি স্বাক্ষী না রাখা হয় এবং স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করে তাহলে আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
,
কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে স্ত্রীর করণীয় হল, স্বামীর কাছ থেকে খোলা তালাক নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া।
(রদ্দুল মুহতার ৪/৪৬৩)