আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হলো ঃ

১। অনেক আগে আমি আয়াতুল কুরসি আরবীতে দেখে দেখে লিখে রেখেছিলাম কাগজে(লিখাটা আরবীতে ছিল) ,  আমি অফিসে কাজের ফাকে ফাকে মুখস্ত করতাম তখন আমি নতুন নতুন আরবী পরা শিখছিলাম হুজুর এর কাছে, তারপর আমি চাকরিটা ছেড়ে দেয়ার সময় ওই কাগজটি আমি আর নিয়ে আসিনি অফিসে রেখে এসেছি, আমি আগে জানতাম না যে ওজু ছাড়া সূরা লিখা থাকলে কোন কাগজে তা স্পর্শ করা যায় না শুধু জানতাম অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যায় না। এখন আমি যদি ওই সূরা লিখা কাগজটি আর না পাই তাহলে করনিও কি আমার কি গুনাহ হচ্ছে কারন কাগজটি আর পাব কিনা জানা নেই। তারপরও আমি আগের অফিসে চেস্টা করে দেখব যেখানে পড়তাম বা রেখছিলাম পাওয়া জায় কিনা।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم  كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة "
রাসূলুল্লাহ সাঃ লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা'জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/793

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
চায় কুরআন হোক বা কোনো কাগজে কুরআনের আয়াত, লিখা হোক, অজু ব্যতিত স্পর্শ করা যাবেনা।সুতরাং অফিসে রেখে আসা ঐ কাগজ খুজে নিয়ে আসবেন।না পেলে,আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...