বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যেহেতু আয়েশা রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে সব সময় থাকতেন।তাছাড়া তিনি অন্যদের তুলনায় বেশ মেধাসম্পন্ন ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বেশ এমন অনেক কিছুই জেনেছেন বা শিখেছেন, তা অন্য কেউ রপ্ত করতে পারেনি, এজন্য সাহাবাগণ অনেক সময় মাস'আলা জানার স্বার্থে,হাদীস জানা ও বুঝার স্বার্থে হযরত আয়েশা রাযির দ্বারস্থ হতেন। হযরত আয়েশা পর্দার আড়ালে থেকে সাহাবাদেরকে হাদীস শিক্ষা দিতেন, ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান দান করতেন। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিবিগণ উম্মতের মা,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
النَّبِيُّ أَوْلَىٰ بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ ۖ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ ۗ وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَىٰ بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَىٰ أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا ۚ كَانَ ذَٰلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا
নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।(সূরা আহযাব-০৬)
হযরত আয়েশার সফরের কথা যে উল্লেখ করছেন,উনার সাথে মাহরাম পুরুষ উনার বাগিনা ছিলো।