আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম।

আমার মা আমাকে কুফুরী কালামের মাধ্যমে আমাকে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন বা তালাক করাতে চায়। (যা আমি নিজ কানে মোবাইল রেকর্ডের মাধমে শুনেছি) যেখানে আমার স্ত্রীর কোনো দোষ নেই। বিয়ের পর থেকে আমার স্ত্রী আমার বাবা-মায়ের সাথে কোনো রকম খারাপ আচরণ করেনি। কারণ, আমার স্ত্রী আলহামদুলিল্লাহ দ্বীনিভাবে চলার চেষ্টা করে। তাই উনি জানেন শশুর-শাশুড়ীর সাথে খারাপ আচরণ করাটা কতটা ঘৃণিত কাজ। কিন্তু, আমার মা-বাবার সাথে আমার ঝামেলা হয়। সামান্য থেকে সামান্য বিষয় নিয়েও ঝামেলা হলে আমার বাবা-মা আমার স্ত্রীকে দোষারোপ করে। কিন্তু,আমার স্ত্রী জানেইনা আমার সাথে আমার বাবা-মার কি ঝামেলা হইছে। আমার বাবা-মা আমার উপর বিয়ের পর থেকেই জুলুম করা শুরু করছে। আমাকে আমার স্ত্রীর কাছে যেতে দেয়না। আমার স্ত্রীর হকও আদায় করতে দেয়না। আমি ওনাদের অনেকভাবে সুন্দরভাবেও বুঝিয়েছি যেন সব কিছু সুন্দর করে ম্যানেজ করে নেয়। কিন্তু, ওনারা আমার কথা শুনে নাই। এখন এসব ঝামেলার সমাধান হিসেবে বেছে নিয়েছে কুফুরী-কালাম। এই কুফুরী কালাম করে আমাকে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে আলাদা করে আমাকে সারাজীবনের জন্য বিয়ে থেকে বিমুখ করে ফেলবে। তাহলে এখন আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন-http://istefta.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...