আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (27 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস "Upwork.com" এ আমি ফ্রিল্যান্সিং করি। এক ক্লায়েন্ট আমাকে একটা কাজের জন্য একদিন ইনভাইটেশন পাঠায়। তখন ম্যাসেজে তার হোয়াটসঅ্যাপে নাম্বারে যোগাযোগ করতে বললে আমি তা করি। আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে  এই ব্যক্তি ফেইক লোক। তারপরও মজা করে ম্যাসেজ দেই যে ভাই আপনি upwork এ আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছিলেন। তখন উনি আমাকে  একটা প্রস্তাব দেয় যে উনি কাজ করার স্টাইলে upwork এর মাধ্যমে আমাকে টাকা পাঠাবে,তাকে ৮০% দিতে হবে,আমি ২০% রাখবো। আমি রাজি হইছি এমন কিছু ওনাকে বলিনি।
কয়েকদিন পর নতুন একটা একাউন্ট থেকে  ইনভাইট আসে, আমি রাজি হই,তারপর সে অফার পাঠায়,আমি গ্রহণ করি।
কাজের বর্নণা ছিলো একটি recipe সাইট তৈরি করে দিতে হবে। টোটাল যে বাজেট ছিলো সেটাকে উনি ২ ভাগে ভাগ করে দিছে :

1) Planning & Project Outline
2) Completion of the main part

দুটোর জন্য আলাদা প্রাইস/বাজেট।
আমি প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তাভাবনা করে , কিভাবে কি করবো, কোন অংশ কিভাবে, কোন টেকনোলজি দিয়া করবো, কি কি লাগবে, সব প্লানিং করে একটা pdf ডকুমেন্ট বানাই এবং সাবমিট দেই। উনি অ্যাপ্রুভ করে প্রথম অংশের(প্লানিং)  এর টাকা পে করে দেয়।
৫ দিন টাকাটা upwork এ পেন্ডিং থাকে, ৫ দিন পর উইথড্র দেওয়া যায়।
৫ দিন হওয়ার আগেই আজকে সেই লোক হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দেয় আমি টাকা পাইছি কিনা।

শুধুমাত্র তখনই(৭-৮ দিন পর) বুঝতে পারি  যে এই লোক তো সেই আগের লোক যিনি ৮০% ফেরত দেওয়ার কথা বলছিলো।
যে পেমেন্টটুকু করেছে, সেটা অনেক বড় অ্যামাউন্ট,  ওই শুধু প্লানিং এর কাজে ওই পেমেন্ট কখনওই খাটে না। আর টাকা শনিবার ২৩ জুলাই আমার একাউন্টে  চলে আসবে।
বিষয়টা হলো উনি আসলে প্রতারক , এটা আমার ধারণা! আর উনি কোন বিশ্বাসে আমাকে এত টাকা আগে দিয়ে দিলো!!!  যদিও আমি অবশ্যই ওনাকে ফেরত দেবো।  এখন এই ২০% আমার জন্য কি জায়েজ হবে? উনি প্রতারক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি,এখন  ২০% যদি না রেখে পুরো টাকাটাই ওনাকে দিয়ে দেই, তাহলে তো ওনার প্রতারণায়  সাহায্য করা হলো।
আমার প্রশ্ন:
আমার জন্য কি ২০% রাখা জায়েজ হবে?

২০% কি সব সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবো?
নাকি কিছু অংশ দান করে দিবো?
নাকি পুরো টাকাটা ওনাকে দিয়ে দিবো??
[উনি আমাকে ২০% দিতে চায় সেচ্ছায়]
আর ভাগ করা কাজের ২য় অংশ এখনও বাকী আছে,সেটাও বড় এমাউন্ট।
ওটা কি এই প্রসেসে আগাবো নাকি বাদ দিয়ে দিবো? যে আমি এসব করবো না।
[২য় অংশ কম্পলিট না করলে আমার একাউন্টে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে]
বিষয়টা আসলে কমপ্লেক্স যে উনি কি প্রতারনা করে অন্য কারো ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড দিয়ে পে করে কিনা।উনি যদি কারো ক্রেডিট কার্ড ডিটেইলস পেয়েও থাকে, তাহলে নিজে টাকা রেখে দিলেই তো হয়।  আমাকে কেন টাকা দিবে কাজ ছাড়া, তারপর আবার ৮০% দাবি করবে কেন!!! আর আমাকে কোন বিশ্বাসে টাকাটা আগে দিয়ে দেয়, তারপর ৮০% নিবে এই আশায়!

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/539 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
নকল করা, জালিয়াতি করা ইত্যাদি নাজায়েয ও হারাম।চায় তা ক্রয়-বিক্রয়ে হোক বা পরীক্ষায় হোক সর্বাবস্থায় ই নাজায়েয।
যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)

https://www.ifatwa.info/8668 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ঐ কাজ না করা এবং সে বাবৎ টাকা গ্রহণ না করাই উচিৎ।কেননা এতেকরে আপনি ভবিষ্যতে বড় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারবেন। হ্যা, কাজের বিনিময় হিসেবে টাকা তার কাছ থেকে গ্রহণ করাতো আপনার অধিকার। এবং কমিশন বাবৎ তার সাথে যে চুক্তি ছিল, সেটাও সে হকদ্বার।  তবে এখানে অস্বাভাবিক কিছু মনে হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (709,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...