আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
edited by
বিয়ে পড়ানোর পর, নিকাহনামাতে সাক্ষর নেয়া হয়েছিল। যখন সাক্ষর করা হয় তার আগে নিকাহনামাতে, কাবিনের টাকার ঘরে এমাউন্ট লেখা হয়েছিল, আর দুজনের নাম লিখা ছিল। আর প্রত্যেকটা ঘর ফাকা ছিল, ওইভাবেই সাক্ষর করা। সময় কম থাকার কারনে কাজী স্বামীকে ১৮ নং ধারাসহ বাকিগুলা পুরণ করতে দেয় নি।আর সেখানে কি লিখা আছে তা জানা যায়নি। স্বামী বিয়ের আগে জানত কাজীরা বিয়ের সময় সেখানে অধিকার লিখে দেয় স্বামীকে না বলে, যেটা ঠিক নয়। কিন্তু তাদের বিয়ের সময় কাজী তাড়াহুড়ার জন্য শুধু তাদের স্বাক্ষর করতে বলা ছাড়া আর কিছুই করতে বলে নি স্বামীকে, এই ব্যাপারে কিছুই স্বামীকে জানায় নাই।

১. উপরের উক্ত বিবরণে কাজী যদি সেখানে বিয়ের সময় স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয় স্বামীকে না জানিয়ে তাহলে কি স্ত্রী অধিকার পেয়ে যায় যেহেতু স্বামী আগে জানত যে কাজীরা অধিকার দিয়ে দেয় স্বামীকে না বলে? কিন্তু স্বামীকে কিছু পূরণ করতে বলে নি। এতে কি কাজী অধিকার দিলেও স্ত্রী পেয়ে যায়?

২.  বিয়ের পর স্বামী তার স্ত্রীকে এই ব্যাপারে বলে "বিয়ের সময় আমাকে ধারাটি পূরণ করতে দিলে তোমাকে অধিকার দিতাম না বা না লিখতাম।কিন্তু কাজী তোমাকে সেখানে অধিকার দিয়ে দিয়ে দিছে।(স্বামীর ধারণা যে কাজী দিয়ে দিছে) অর্থাৎ তার অধিকার দেওয়ার ইচ্ছা আগে থেকে ছিল না।
স্বামীর এইভাবে কথা বলাতে কি স্ত্রী অধিকার পেয়ে যায়?

৩. বিয়ের পর স্বামী যদি স্ত্রীকে মন খারাপ করে বলে "তোমারে সুখ না দিলে তুমি আমারে একদিন ছাইড়া দিবা" এইভাবে বলাতে কি স্ত্রী অধিকার পেয়ে যায়? যদি পায় সেটা কি সারাজীবন এর জন্য নাকি কতক্ষণ এর জন্য?

৪. যদি বলে রাগে ও অভিমানে বলে "তুমি আমারে ছাইড়া দিবা" এতেও কি অধিকার পেয়ে যায়? সারাজীবন এর জন্য নাকি কিছুক্ষণ এর জন্য?

1 Answer

0 votes
by (719,600 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
বিয়ের সময়ে স্বামীকে না জানিয়ে যদি কাজী সাহেব স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে ১৮ কলাম পূর্ণ করে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হবে না।

(২)
না, স্ত্রী অধিকার পাবে না।বরং এই কথা দ্বারা অধিকার না থাকার কথাই বুঝা যাচ্ছে।

(৩)
'"তোমার মন মত না হইলে তুমি আমারে একদিন ছাইড়া দিবা"
এই কথা দ্বারা স্ত্রী আজীবন তালাকের অধিকার পেয়ে যাবে।

(৪)
"তুমি আমারে ছাইড়া দিবা" একথা দ্বারা মজলিসের ভিতর তালাকের মালিক থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...