বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুহতারামাহ!
আপনি সম্ভবত ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত। সুতরাং আপনাকে বলবো, ওয়াসওয়াসা মূলত শয়তানের পক্ষ্য থেকে আসে, তাই যখনই মনে ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই অজু করে দু'রাকাত নামায পড়ে নিবেন।এবং আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন।
মনে রাখবেন,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
স্ত্রী বলবে, আমি নিজের উপর তালাক নিলাম। এটাই সম্বন্ধযুক্ত করার অর্থ।
(২)
স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে, তোমাকে তালাক দিলাম।তাহলে তালাক হবে না।
(৩)
তালাকের মজলিসে স্ত্রী যদি শর্তযুক্ত কেনায়া বাক্য বলে, তাহলে তালাকের নিয়ত না থাকলে ভবিষ্যতে শর্ত পাওয়া গেলেও তালাক হবে না।কেননা কেনায়া বাক্য নিয়ত ব্যতিত তালাক হবে না।