আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি জানি না আমার ঈমান দূর্বল কিনা,বুঝে উঠতে পারি না কিছু বিষয় যেহেতু জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ড দ্বীনের কোন অংসগ বেশি জরুরি কোনটা কম বুঝি না।এক প্রকার ঈমান নিয়ে ওয়াসওয়াসায় পড়ে যাই।

সম্প্রতি নড়াইলে এক হিন্দু যুবক রাসুলুল্লাহ সাঃ কে ফেসবুকে পোস্ট করলে সেখানে নাকি হিন্দুদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়।এই উদ্দেশ্য মুসলমানদের আটক করা হচ্ছে।এবং ধারনা করছে মুসলমানরাই এইগুলা করছে।

 হাদিসে এসেছে, শাতিমে রাসুলুল্লাহ সাঃ একমাত্র শাস্তি কতল।কিন্তু বাংলাদেশে এই আইন নেই।

আমার সমস্যা হচ্ছে, রাসুলুল্লাহ সাঃ কে নিয়ে কটুক্তি একজন করলো, বাকিদের ঘর বাড়ি জ্বালানো কি উচিত ছিল? কখনো মনে হয় দোষ ত একজন করেছে। আবার অন্য যাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তাদের জন্য কিছুটা খারাপ ও লাগছে মনে হচ্ছে তারা ত কিছু করে নি বা বলে নি।

আমি আসলে বুঝতেসিনা কি ধরনের মনোভাব রাখব? খুব ভয় ও হয় নিজের ঈমান নিয়ে।

আবার মনে হয় না ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে ঠিক ই করসে আমাদের সাথে এমন করবে কেন?
মানে এই ক্ষেত্রে কি ধরনের মনোভাব পোষন করা জরুরি? মুসলিমরা তাদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া কি কোন ঈমানি দায়িতের মধ্যে পরে কিনা? বা আমার ঈমানে কি কোন সমস্যা দূর্বলতা আছে? এই ধরনের ইসুতে কি ধরনের মনোভাব পোষন জরুরি?

1 Answer

0 votes
by (707,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শাতিমে রাসূলের জন্য মৃত্যুদণ্ড আইন হবে।যে অপরাধ করবে, শুধুমাত্র সেই শাস্তি পাবে।শুধুমাত্র এতটুকু আকিদা বিশ্বাস রাখবেন। এর চেয়ে বেশী চিন্তাভাবনা করা আপনার জন্য জরুরী না।কেননা এর চেয়ে জরুরী বিষয় সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা আপনার জন্য উচিৎ।আপনি নিজের আ'মল সংশোধনের দিকে হাটবেন। ফরয বিধান কতটুকু আপনার দ্বারা হচ্ছে বা হচ্ছেনা, সেই সম্পর্কে আপনি গভীরভাবে চিন্তাগবেষণা করবেন।

https://www.ifatwa.info/1037 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মানুষের সাথে সম্পর্কিত আ'মল দুই প্রকার যথাঃ-
(১)প্রকাশ্য আ'মল
(২)অপ্রকাশ্য আ'মল

প্রকাশ্য আ'মল আবার দু ধরণের হতে পারে। যথাঃ
(ক) ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় যেমনঃ- নামায,রোযা, ইত্যাদি।
(খ)নেতিবাচক যেমন - চুরি-ডাকাতি,ব্যভিচার ইত্যাদি।

ঠিকতেমনিভাবে অপ্রকাশ্য আ'মল ও দু ধরণের হতে পারে।
যথাঃ
(ক)ইতিবাচক ও প্রশংসিত যেমনঃ- বিনয়,ভদ্রতা ইত্যাদি।
(খ)নেতিবাচক ও নিন্দনীয় যেমনঃ- অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষকে লালন করে,অহংকার, অভদ্রতা।

প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবগুলো আ'মলই কুরআন-হাদীসে বর্ণিত থাকলেও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় কিন্তু শুধুমাত্র প্রকাশ্য আ'মল গুলোরই শিক্ষা দেয়া হয়।এবং কোথাও কোথাও এ দুই প্রকারের আ'মলের শিক্ষার সিলেবাস থাকলেও ব্যবহারিকভাবে শুধুমাত্র প্রকাশ্যে আ'মলেরই শিক্ষা দেয়া হয়।অপ্রকাশ্য আ'মলের শিক্ষা দেয়া হয় না বললেও অত্তুক্তি হবে না।এমনকি এর প্রয়োজনীয়তাকে অনেকে অনুভবও করেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...