বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اشْتَكَى نَفَثَ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ وَمَسَحَ عَنْهُ بِيَدِهِ فَلَمَّا اشْتَكَى وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ كُنْتُ أَنْفِثُ عَلَيْهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ الَّتِي كَانَ يَنْفِثُ وَأَمْسَحُ بِيَدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ قَالَتْ: كَانَ إِذَا مَرِضَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ نَفَثَ عَلَيْهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হলে(مُعَوِّذَاتِ) ’’মু’আব্বিযা-ত’’ অর্থাৎ সূরাহ্ আন্ নাস ও সূরাহ্ আল ফালাক্ব পড়ে নিজের শরীরের উপর ফুঁ দিতেন এবং নিজের হাত দিয়ে শরীর মুছে ফেলতেন। তিনি মৃত্যুজনিত রোগে আক্রান্ত হলে আমি মু্বিব্বিযাত পড়ে তাঁর শরীরে ফুঁ দিতাম, যেসব মু’আব্বিযাত পড়ে তিনি নিজে ফুঁ দিতেন। তবে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাত দিয়েই তাঁর শরীর মুছে দিতাম।
(সহীহ : বুখারী ৪৪৩৯, মুসলিম ২১৯২, ইবনু হিব্বান ৬৫৯০, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৪৬৭৩)
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেছেন, তাঁর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তিনি ’’মু’আব্বিযাত’’ পড়ে তার গায়ে ফুঁ দিতেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
দুই কুল তথা সূরা নাস ও ফালাক,যেগুলোকে হাদীসে
مُعَوِّذَاتِ
পানাহ দানকারী সূরাহ বলা হয়েছে। তাছাড়া আরো দুই কুল তথা সূরায়ে ইখলাছ ও কাফিরুন,হাদীসের আলোকে এগুলোরও বিশেষ ফযিলত প্রমাণিত রয়েছে।
এগুলোকে যে কোনো সময় পড়া যাবে।সকাল-সন্ধ্যা বা যেকোনো সময়ে যে কোনো সংখ্যায় পড়া যাবে। তবে জরুরী মনে করা,বা বিশেষ সংখ্যা দ্বারা সংখ্যায়িত করা কখনো জায়েয হবে না বরং বিদ'আত হবেই।
(২)
কোন মেয়ে যদি কোন পুরুষকে দেখে এবং তার স্বাভাবিকভাবে মনে হয় যে ঐ পুরুষের চেহারা সুন্দর, কিন্তু তার মাথায় কোন বাজে চিন্তা আসে না, এবং বাজে চিন্তা না আসার অর্থই হল, তার দিকে বারংবার না থাকানো।তাহলে এতেকরে চোখের যিনা হবে না।
(৩)
নামাযে উঠাবসার তাকবির বলতে ভুল হলে নামায হবে।কেননা এগুলো বলাতো সুন্নত।আর সুন্নতে ভুল হলে বা তরক হলে সাহু সিজদা আসে না।
(৪)
যেসব ফল বা সবজির খোসা খাওয়া যায়(শসা বা ইত্যাদি) এগুলোর খোসা না খেয়ে যদি ফেলে দেয়া হয়, তাহলে এতে অবশ্যই গুনাহ হবে না।কেননা এখানে অপচয়ের পুরোপরি সজ্ঞা আরোপিত হচ্ছে না।
(৫)
কোন মেয়ের কোন বান্ধবী যদি পর্দা না করে, তাহলে সেই বান্ধবীর সাথে চলাফেরা করলে, সেই মেয়েও গুনাহগার হবে না। দাওয়াত ও ইসলাহ করার নিয়তে ঐ বান্ধবীর সাথে চলাফেরা করলে গোনাহের পরিবর্তে অবশ্যই সওয়াব হবে।
(৬)
সহপাঠী বিধর্মীদের সাথে সৌজন্যস্বরুপ দেখা করা ও খাওয়া দাওয়া করা না জায়েয হবে না। তবে বিধর্মীদের হাতে জবাইকৃত পশু খাওয়া যাবে না। এবং তাদেরকে আন্তরিক বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করাও যাবে না।