ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
একজন ছেলের বউয়ের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে শ্বশুর শাশুড়ীর অনুমতি নেওয়া আবশ্যক নয়।
তার অভিভাবক শ্বশুর শাশুড়ী নয়,তার স্বামী তার অভিভাবক।
(০২)
বাবা মা চাইলে শরয়ী গন্ডির মধ্যে থেকে বিয়ের পর পুত্রের ব্যক্তিগত বা সাংসারিক জীবনে বিশেষ প্রয়োজনে কোনো বিষয়ে পুত্রের অনুমতিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
তবে স্ত্রীর হক যেনো নষ্ট না হয়।
প্রশ্নে উল্লেখিত হস্তক্ষেপ জায়েজ নয়।
(০৩)
পিতা মাতা যদি কোনো শরয়ী কারন ছাড়াই তার স্ত্রীকে তালাক দিতে বলে,তাহলে এই আদেশ মানা যাবেনা।
এটা গুনাহের আদেশ,কোনোভাবেই পিতামাতার গুনাহের আদেশ মানা যাবেনা।
এহেন ছুরতে স্বামী তার পিতা মাতাকে আপ্রান চেষ্টা করে বুঝাতে থাকবে।
যদি তারা না বুঝে,তারপরেও কোনো ভাবেই স্ত্রীকে তালাক দিবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে উসমানী ১/১৯২,
ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৪৪৯)
,
★★তবে বাবা মা যদি শরয়ী কোনো কারনে তালাক দিতে বলে,তাহলে তালাক দিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ مُعَاذٍ قَالَ: أَوْصَانِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَشْرِ كَلِمَاتٍ قَالَ: ” لَا تُشْرِكْ بِاللهِ شَيْئًا وَإِنْ قُتِلْتَ وَحُرِّقْتَ، وَلَا تَعُقَّنَّ وَالِدَيْكَ، وَإِنْ أَمَرَاكَ أَنْ تَخْرُجَ مِنْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ،
হযরত মুয়াজ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ আমাকে দশটি বিষয়ে ওসিয়ত করেছেন। তিনি বলেছেন, তুমি নিহত বা দগ্ধও হয়ে যাও তবু আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না। যদি তোমার পরিবার ও সম্পদও ছেড়ে দিতে আদেশ দেন পিতা-মাতা তবু তাদের অবাধ্য হয়ো না। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২০৭৫}
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَتْ لِي امْرَأَةٌ كُنْتُ أُحِبُّهَا، وَكَانَ أَبِي يَكْرَهُهَا، فَقَالَ لِي: طَلِّقْهَا، فَأَبَيْتُ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «طَلِّقْهَا» فَطَلَّقْتُهَا
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার একজন স্ত্রী ছিল। যাকে আমি ভালবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা [হযরত উমর বিন খাত্তাব রাঃ] তাকে পছন্দ করতো না। তিনি আমাকে বললেন, তাকে তালাক দিতে।কিন্তু আমি তালাক প্রদান করতে অস্বিকৃতি জানালাম। তখন আমার পিতা রাসূল সাঃ এর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলে রাসূল সাঃ বললেন, তাকে তালাক দিয়ে দিতে। ফলে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করি। {মুসনাদে আবু দাউদ তায়ালিসী, হাদীস নং-১৯৩১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৭১২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫১৩৮}
আরো জানুনঃ-
(০৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এ কথা যুক্তিসঙ্গত।
তবে তারা তার আসল বাবা মার পর্যায়ে কোনোভাবেই পড়বেনা।
(০৫)
এরুপ কাজ শরীয়তের দৃষ্টিকোণ হতে গ্রহণযোগ্য নয়।